মুর্শিদাবাদ এমনিতেই নবাবের স্থান। বড় বড় রাজপ্রাসাদ থেকে শুরু করে উচু উঁচু স্তম্ভ বা মিনার ইতিহাসের ছোঁয়া এখানে পরতে পরতে। সেখানকারী এক জমিদার বাড়ি এখন সেজে উঠেছে লাক্সারি রিসোর্টে! চাইলে একটা রাত রাজার হালে কাটিয়ে আসতেই পারেন আজিমগঞ্জের বড়ি কোঠিতে।
আরও পড়ুনঃ হাতছানি দিচ্ছে জঙ্গল ঘেরা পাহাড়-জঙ্গল-নদী, দুর্গাপুজোর ছুটিতে ঘুরে আসুন বেলপাহাড়ির গাডরাসিনি
advertisement
ছোটবেলায় যখন গল্পের বইতে রাজা-মহারাজাদের অথবা জমিদারদের গল্প আমরা পড়তাম তখন সকলের ইচ্ছে জাগত জীবনে অন্তত একবার জমিদার বাড়ি অথবা রাজবাড়িতে একদিন কাটানোর, সেই সুযোগই করে দিল আজিমগঞ্জের বড়ি কোঠি। ১৭০০ সালে তৈরি হয় বড়ি কোঠি। শেরাওয়ালি পরিবার সম্পত্তি ছিল এটা। রাজস্থান থেকে এক ব্যবসায়ী পরিবার সেই সময় বাংলার মুর্শিদাবাদে এসেছিলেন টেক্সটাইল ও ব্যাংকিং বিভাগে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে এবং তখনই এখানে তারা জমিদারি স্থাপন করেন। বড়ি কোঠিতে থাকতেন শেরাওয়ালি পরিবারের বড় ভাই রাজ বাহাদুর বুধ সিং দুধরিয়া।
আরও পড়ুনঃ দুর্গাপুজোর ছুটি নিরিবিলি কোথাও কাটাতে চান, দিন দুয়েক ঘুরে আসুন পুরাতন বক্রেশ্বর
প্রাসাদের বৈশিষ্ট্য: গঙ্গার ধার ঘেষা এই প্রাসাদ ভিতরে রয়েছে একাধিক রাজকীয় ঘর। আগে যেটিকে গদিঘর হিসেবে ব্যবহার করা হতো সেটাকে বানানো হয়েছে বসার ঘর। এখানে থাকার জন্য পেয়ে যাবেন তিনটি ক্যাটাগরির মোট ১৫টি সুইট। তিনটি খাবার ঘর রয়েছে। জারিন মহল, দরবার হল আর নহবৎ খানা। তবে এখানে নিরামিষ খাবারই খেতে হবে আপনাকে। পাবেন লাঞ্চ, হাই টি, স্নাক্স, ডিনার, ব্রেকফাস্ট।
কোথায় থাকবেন: এখানে যেমন রাত কাটানোর সুযোগ আছে তেমন চাইলে সকাল থেকে সন্ধ্যের ডে প্যাকেজ হিসেবে ও আপনি বুক করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনার প্যাকেজে আসবে ওয়েলকাম ড্রিংক, লাঞ্চ, চা আর বিকেলের স্নাক্স।
কীভাবে যাবেন: মুর্শিদাবাদের আজিমগঞ্জে বড়িকোঠি। শিয়ালদহ থেকে লালগোলা ট্রেন ধরে নামুন মুর্শিদাবাদ। ওখান থেকে চলে যা না আজিমগঞ্জে। এখানে ডে আউটের খরচ পড়বে ২৫০০ থেকে ৫৫০০ টাকার মধ্যে। আর একরাত এখানে থাকতে চাইলে খরচ বাড়বে ১৪-২১ হাজার টাকার মত। এরমধ্যেই পাবেন খাওয়া দাওয়া। এ ছাড়াও কিছু প্যাকেজে আপনাকে ঘুরিয়ে দেখানো হবে মুর্শিদাবাদের দর্শনীয় স্থান।