সিউড়ি থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে খয়রাশোল ব্লকের অন্তর্গত লোকপুরের দেবগঞ্জ মৌজায় রয়েছে এই পুরাতন বক্রেশ্বর। চারিদিকে অরণ্যের নির্জনতা এখানকার মূল আকর্ষণ। তবে এখানে থাকা খাওয়ার জন্য কোনও ব্যবস্থা নেই। যারা এই জায়গায় আসতে চান তাদের সিউড়ি থেকে সরাসরি আসতে হবে অথবা বক্রেশ্বর বা দুবরাজপুরে থাকার ব্যবস্থা করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ সকাল থেকে ঘামে-গরমে নাজেহাল! দুপুরের পর আমূল আবহাওয়া বদল! জানুন
advertisement
পুরাতন বক্রেশ্বর কেন বিখ্যাত? কথিত আছে এখানে অষ্টাবক্র মুনি প্রথম সাধনা করেছিলেন এবং সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। এরপর তিনি চলে যান দুবরাজপুর ব্লকের অন্তর্গত বক্রেশ্বরে। সেখানেও তিনি সাধনা করেছিলেন। মনে করা হয়, পুরনো বক্রেশ্বরে অষ্টাবক্র মুনি শিবের সাধনা করেছিলেন এবং বক্রেশ্বরেও সতীপীঠ হিসাবে শিবের আরাধনা করেছিলেন। এই পুরাতন বক্রেশ্বরে নির্জন জঙ্গলে ঘেরা পরিবেশ থাকার পাশাপাশি রয়েছে অষ্টাবক্র মুনির সাধন আসন। রয়েছে একটি শিব মন্দির, একটি কালী মন্দির, একটি আশ্রম, শ্মশানভূমি, আগত পুণ্যার্থী এবং পর্যটকদের বিশ্রাম স্থল, উষ্ণ প্রস্রবণ।
বক্রেশ্বর দূর দূরান্তের অনেকের কাছেই অপরিচিত হলেও এই পুরাতন বক্রেশ্বর ঘেঁষা এলাকার বিভিন্ন মানুষ ছাড়াও বর্ধমান এবং ঝাড়খণ্ডের বহু মানুষকেই মাঝে মাঝেই আসতে দেখা যায়। সবচেয়ে বেশি আগমন ঘটে শীতকালে। এই নির্জন পরিবেশে এই শীতকালে বনভোজনের জন্য জড়ো হতে দেখা যায় বহু মানুষকে।
Madhab Das