অরণ্য সুন্দরী ঝাড়গ্রাম মানেই শাল-পিয়ালের গন্ধ। পুজোর ছুটিতে প্রথমেই চলে যান ঝাড়গ্রাম। ঝাড়গ্রাম থেকে আনুমানিক ৪৬ কিমি ও বেলপাহাড়ি থেকে ৮ কিমি দূরে অবস্থিত গাডরাসিনি পাহাড়। ঝাড়গ্রামের রানি মানেই বেলপাহাড়ি। পুজোর ছুটিতে মন ভাল করতে পরিবারকে নিয়ে সবুজে ঘেরা পাহাড় আর শাল, মহুয়ার জঙ্গলে হারিয়ে যান। ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য দারুন এই জায়গা। বেলপাড়ি থেকে ডানদিকে ৬ কিমি পাকা রাস্তার ওপর দিয়ে গেলে পড়বে ঘাঘরা জলপ্রপাত। যেখানে কালো পাথরের মাঝে অশ্বক্ষুরাকৃতি গর্ত আর চারিদিকে জঙ্গলের মাঝ দিয়ে জলের গভীর আওয়াজ অবশ্যই মন টানবে। সেখান থেকে আবার বেলপাহাড়িতে ফিরে চলে আসুন গাডরাসিনি পাহাড়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দুর্গাপুজোর ছুটি নিরিবিলি কোথাও কাটাতে চান, দিন দুয়েক ঘুরে আসুন পুরাতন বক্রেশ্বর
দেখুন গুগল ম্যাপে ভ্রমণ স্থানের তথ্যঃ
পাহাড়ের কোলে রয়েছে হোম-স্টে আর এক আশ্রম। পাহাড়ের ওপরে মন্দির। পাহাড়ের চূড়া থেকে সবুজে ভরা বেলপাহাড়ি-ঝাড়গ্রামকে দেখতে পাবেন এবং উপলব্ধি করতে পারবেন জঙ্গল ও পাহাড়ের ঘেরা অরন্যের শীতলতা। মনে হবে আপনি যেন উত্তরের কোনও রাজ্যে এসে পৌঁছেছেন। আর ঘন জঙ্গলের মাঝে ছোট ছোট গ্রামের ছবি ফুটে উঠেছে ক্যানভাসে আঁকা চিত্রের মতো। তার পাশেই দেখতে পাবেন খান্দারানি জলাধার। যেখানে চোখে পড়বে পরিযায়ী পাখিদের সারি সারি ঝাঁকে একসঙ্গে উড়ে যাওয়ার অপূর্ব দৃশ্য।
আরও পড়ুনঃ সকাল থেকে ঘামে-গরমে নাজেহাল! দুপুরের পর আমূল আবহাওয়া বদল! জানুন
কলকাতা থেকে মাত্র ১৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঘন অরণ্য এবং পাহাড় দিয়ে ঘেরা বেলপাহাড়ির এই গাডরাসিনি পাহাড়। এই পাহাড়ে যাওয়ার জন্য রয়েছে ঝাঁ চকচকে রাস্তা। ভাবছেন এই পাহাড়ে আসলে কোথায় থাকবেন! চিন্তা করবেন না, এখানে প্রচুর হোম-স্টে রয়েছে যার ফলে থাকার ও খাওয়ার কোনও সমস্যা হবে না। শুধু এই পাহাড় নয়, বেলপাহাড়ি ঝর্ণা, পাহাড়, অরণ্য উপভোগের এক আদর্শ স্থান।
তামাজুড়ি থেকে ১৮ কিমি দূরে কাঁকড়াঝোড় ফরেস্ট। শাল, পিয়াল, মহুয়া, সেগুন, আকাশমণিতে ছাওয়া গভীর অরণ্যে দেখা মেলে ভালুক ও বুনো শূকরের। কখনও দলমা পাহাড় থেকে নেমে আসে হাতির পাল।
কীভাবে যাবেন:
কলকাতা থেকে ঝাড়গ্রাম ১৯০ কিলোমিটার। আর ঝাড়গ্রাম থেকে বেলপাহাড়ি ৪০ কিলোমিটার।
কলকাতা থেকে ট্রেন বা বাসে ঝাড়গ্রাম পৌঁছে, সেখান থেকে গাড়ি করে নেওয়াই সঠিক কাজ হবে।
হাওড়া থেকে অনেক লোকাল ও মেল ট্রেন যায়। সময়ের দিক থেকে ইস্পাত এক্সপ্রেস, লালমাটি এক্সপ্রেস হাওড়া-ঘাটশিলা প্যাসেঞ্জার ভাল।
Partha Mukherjee