সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই গ্রামের বাসিন্দা রুবি দেবীর স্বামী ইন্দ্রদেব পাসোয়ান কাজের সূত্রে বাইরেই থাকেন। ইন্দ্রদেব পেশায় একজন শ্রমিক। নিঃসন্তান এই দম্পতির বাড়িতে মাঝেমধ্যেই বেড়াতে আসতেন ইন্দ্রদেব পাসোয়ানের ভাইপো পঙ্কজ। এই যাওয়া-আসার মধ্যেই রুবি দেবী আর পঙ্কজের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আর ঘনিষ্ঠতা এত দূর গড়ায় যে, তাঁরা অন্য শহরে বেড়াতে গিয়ে হোটেলে রাত পর্যন্ত কাটিয়েছেন। গত কয়েক মাস ধরে চলা এই প্রেমের গুঞ্জন আর চাপা থাকেনি। লোক জানাজানি হতেই সালিশি সভা ডাকা হয় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে। সেখানে ওই মহিলা সরাসরি জানিয়ে দেন যে, তিনি পঙ্কজের সঙ্গেই জীবনটা কাটাতে চান। স্বামী ইন্দ্রদেবকেও এই একই কথা জানিয়েছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন– বিপাকে গো ফার্স্ট, ফের অপারেশন শুরু করতে স্বল্পমেয়াদি তহবিলের খোঁজ, সঙ্কট কাটবে?
এর পরেই পঙ্কজের সঙ্গে রুবি দেবীর বিয়ে দেওয়ার বিধান দেয় পঞ্চায়েত। শনিবার রাতে গ্রামের মন্দির প্রাঙ্গণেই বসে সেই বিয়ের আসর। এমনকী রুবি-পঙ্কজের বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন স্বামী ইন্দ্রদেব পাসোয়ান। সেই বিয়ের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সিঁথি রাঙিয়ে রুবি দেবী সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন যে, “আমি পঙ্কজকে গভীর ভাবে ভালবাসি। যখন সমস্ত মানুষ এই প্রেমের কথা জেনে গিয়েছে আর আমার স্বামীও আমাকে ছেড়ে দিয়েছে, তখন আমি কী করতাম? আমার কাছে একটাই পথ ছিল – যাঁকে ভালবাসি, তাঁকেই বিয়ে করে নেওয়া।” এর পরেই বিয়ের আয়োজন করেন গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন- জলের মধ্যে আলিঙ্গনবদ্ধ যুগল, ভেঙে গেল সব বাঁধ! ভাইরাল ভিডিও দেখে কী বললেন নেটিজেনরা?
পঙ্কজের বক্তব্য, সম্পর্কে রুবিদেবী তাঁর কাকিমা হন। তাঁর সঙ্গে ঘুরতেও গিয়েছেন তিনি। যদিও গ্রামবাসীরা জোর করে কাকিমার সঙ্গে বিয়ে দেওয়ায় খুশি নন খোদ পঙ্কজ। এমনকী খুশি নয় তাঁর পরিবারও। পঙ্কজের মায়ের প্রশ্ন, কীভাবে তাঁর বিএ পড়ুয়া ছেলের বিয়ে দিল গ্রামবাসীরা। এটা তাঁরা অন্যায়ই করেছেন।
গ্রামের প্রবীণ রাজেন্দ্র সিং জানান, কাকিমা আর ভাইপোর প্রেমের বিরূপ প্রভাব পড়ছিল সমাজের উপর। এমতাবস্থায় শনিবার রাতে গ্রামের লোকজন জড়ো হন। এর পর তাঁদের দু’জনকে শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
