TRENDING:

Ayurvedic Medicines: নকল পণ্যের বিরুদ্ধে সরকারের বড় পদক্ষেপ, আপনার যা না জানলেই নয়...

Last Updated:

Ayurvedic Medicines: এই নিয়ম তৈরি হওয়ার পর আর যে কোনও দোকানে আয়ুর্বেদিক ওষুধ বিক্রি করা যাবে না।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কলকাতা: দেশে এখন বিভিন্ন স্থানে নকল আয়ুর্বেদিক ও ইউনানি ওষুধ বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হতে চলেছে। দেশে নকল আয়ুর্বেদিক ওষুধের বিক্রি ঠেকাতে মাঠে নেমেছে আয়ুষ মন্ত্রক। আয়ুষ মন্ত্রকের নির্দেশে, বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের সাহায্যে নকল আয়ুর্বেদিক ওষুধ বিক্রি করা অনেক সংস্থার লাইসেন্স বাতিল করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি আয়ুর্বেদিক ওষুধ বিক্রির নিয়মেও কিছু পরিবর্তন করা হতে পারে। আগামী দিনে জেলা পর্যায়ে আয়ুর্বেদিক ওষুধ বিক্রির জন্য আলাদা লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই নিয়ম তৈরি হওয়ার পর আর যে কোনও দোকানে আয়ুর্বেদিক ওষুধ বিক্রি করা যাবে না।
বড় পদক্ষেপ সরকারের
বড় পদক্ষেপ সরকারের
advertisement

প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখা ভাল যে, কালো থেকে ফর্সা হওয়া বা ত্বকের রঙ পরিবর্তন, ওজন কমানো, ওজন বাড়ানো, উচ্চতা বাড়ানোসহ নানা ধরনের ওষুধের ক্ষেত্রে প্রতিদিনই বাজারে নানা ধরনের নকল আয়ুর্বেদিক পণ্য বিক্রি হচ্ছে নির্বিচারে। বিশেষ করে আয়ুর্বেদিক ওষুধের নির্যাস, ক্বাথ, চব্যনপ্রাশ, গুঁড়ো ও জুস বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন বাজারে বিভ্রান্তিকর ও নিম্নমানের ওষুধের আধিক্যের পর প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্ট ১৯৪০ এবং কনজিউমার সুরক্ষা আইন ২০১৯-এর অধীনে লাইসেন্স বাতিলের পাশাপাশি জরিমানা ও কড়া শাস্তির বিধান রয়েছে।

advertisement

আরও পড়ুন: জেলে অনুব্রত মণ্ডল, সেই ‘কেষ্ট’কে ঘিরেই বোলপুরে বিরাট কাণ্ড! কীসের ইঙ্গিত?

শর্তসাপেক্ষে চিকিৎসার দাবিকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে

সাম্প্রতিক সময়ে, অনেক আয়ুর্বেদিক ওষুধ যা পুরুষালি শক্তি বাড়ায় দিল্লি-এনসিআর সহ দেশের অনেক জায়গায় বিক্রি করা হচ্ছে। আয়ুষ মন্ত্রকের নির্দেশে, এক ডজনেরও বেশি সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অনেক কোম্পানির ওষুধ বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এতে কয়েকটি বড় কোম্পানির ওষুধও রয়েছে। ভারতের বাজারে দুই ধরনের আয়ুর্বেদিক ওষুধ পাওয়া যায়। আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরির জন্য লাইসেন্স দেওয়া হয়, প্রথমত ক্লাসিক্যাল ওষুধ এবং দ্বিতীয়ত পিএনপি (পেটেন্ট এবং মালিকানা), এর অধীনে ওষুধ তৈরি হয়।

advertisement

আরও পড়ুন: সারা বছর সবুজ থাকে এই পাহাড়, বর দিয়েছিলেন স্বয়ং ভগবান রাম! কোথায় জানেন?

বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন

দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ আয়ুর্বেদ (এআইআইএ) সরিতা বিহারের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. মহেশ জানিয়েছেন যে, আয়ুর্বেদিক ওষুধ দুটি উপায়ে তৈরি হয়। প্রথম, ক্লাসিক্যাল মেডিসিনের অধীনে এবং দ্বিতীয় পিএনপির অধীনে। ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্ট ১৯৪০ অনুসারে, ৫৫টি আয়ুর্বেদিক বইয়ের ভিত্তিতে ওষুধ তৈরি করা হয়। দ্বিতীয়ত, পিএনপি আয়ুর্বেদিক ওষুধগুলি আধুনিক চিকিৎসকদের অভিজ্ঞতা এবং গবেষণার উপর ভিত্তি করে তৈরি। এর জন্য অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়। দ্বিতীয়ত, ডাক্তার বা ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি যারা আয়ুর্বেদের বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ওষুধ বিক্রি করে। এর জন্য ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আয়ুষ মন্ত্রক এই ধরনের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি এবং ওষুধের উপর নজর রাখে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

আয়ুষ মন্ত্রক বলেছে যে, আয়ুর্বেদিক ওষুধ সম্পর্কে যদি কোনও সন্দেহ থাকে তবে দিল্লি, লখনউ এবং বেনারস সহ সারা দেশে অবস্থিত ৭৪টি কেন্দ্রে অভিযোগ করে ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্ট ১৯৪০-এর অধীনে তা পরীক্ষা করাতে পারেন যে কেউ। এই আয়ুর্বেদিক ওষুধের উৎপাদন, গবেষণা, ফলাফল নিয়ে দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তির বিধান রয়েছে।

বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
Ayurvedic Medicines: নকল পণ্যের বিরুদ্ধে সরকারের বড় পদক্ষেপ, আপনার যা না জানলেই নয়...
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল