দেশে এখন বিয়ের মরশুম চলছে। সর্বত্র সেই উদযাপনের প্রস্তুতি। খুব শীঘ্রই খরমাস শুরু হয়ে যাবে, হিন্দু ধর্মের আচার অনুসারে যে সময়ে কোনও শুভ কাজ করা যায় না। ফলে, ক্যাটারিং থেকে বিয়ের কার্ড ছাপানো- কোথাওই যেন নিশ্বাস ফেলার ফুরসতটুকুও নেই। সবাই নিজেদের মনের মতো করে মেয়ের বিয়ের কার্ড ছাপাচ্ছেন। কিন্তু রাজস্থানের এক বাবা ছাপালেন মেয়ের শ্রাদ্ধের কার্ড।
advertisement
জানা গিয়েছে যে ঘটনাটি রাজস্থানের বেওয়ারের। রাজস্থানের বেওয়ারের বদনোরের বাসিন্দা বিমলা পরিবারের অমতে এক যুবককে ভালবেসে বিয়ে করেছেন। এমনটা আমরা দেখে অভ্যস্ত। নিজেদের পরিচিতদের মধ্যেই এমন কাউকে আমরা খুঁজে পাব যিনি পরিবারের অমতে বিয়ে করেছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অভিমান দূর হয়েছে, মা-বাবা মেয়ে-জামাইকে নিয়ে সুখে আছেন। কিন্তু বিমলার বিয়ে নিয়ে জল গড়িয়ে গিয়েছে অনেক দূর!
আসলে, এক দিকে যেমন বাবা মেয়ের এই ভালবাসার বিয়ে মেনে নিতে পারেননি, তেমনই অন্য দিকে বাবার তাঁকে সমর্থন না করা নিয়ে প্রচণ্ড অভিমান তৈরি হয়েছে মেয়ের মনেও। জানা গিয়েছে যে মা-বাবা তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে তিনি সব সম্পর্ক অস্বীকার করে দিয়েছেন তাঁদের মুখের উপরেই! এমনকি, পুলিশের সামনে মা-বাবাকে তিনি চিনতে পর্যন্ত চাননি!
এই ঘটনাই বাবার মনে দুঃখ দিয়েছে সব থেকে বেশি। মেয়ের ভালবাসার বিয়ে তিনি হয়তো মেনে নিতে পারতেন, কিন্তু মেয়ে তাঁকে চিনতে পর্যন্ত চাননি, এটা তাঁর সহ্যের বাঁধ ভেঙে দিয়েছে। ফলে, এবার তিনি মেয়ের শ্রাদ্ধের কার্ড ছাপিয়েছেন। মেয়ে যেমন মা-বাবার অস্তিত্ব অস্বীকার করেছেন, বাবাও তেমনই মেয়েকে মৃতা বলে ঘোষণা করে শ্রাদ্ধের আয়োজন করেছেন।
সেই কার্ডে রাজস্থানি ভাষায় একেবারে শুরুতেই বদনোরের যোগ লিখি গাঁয়ের কুমার জগদীশ সবাইকে রাম-রাম বলে প্রথামাফিক সম্বোধন করেছেন। তার পর জানিয়েছেন যে তাঁর কুপুত্রী বিমলার অকস্মাৎ মৃত্যু হয়েছে। যে উপলক্ষ্যে বুধবার ১১.১২.২০২৪ তারিখে শ্রাদ্ধের আয়োজন হয়েছে। সবশেষে ত্রুটি মার্জনার অনুরোধ জানিয়ে আত্মীয়দের মেয়ের শ্রাদ্ধে যোগদান করার সবিনয় নিবেদন করেছেন তিনি।