Vinod Kambli: ‘ইউরিন ডিসঅর্ডার হয়েছিল, মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলাম’, শারীরিক অবস্থা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন বিনোদ কাম্বলি

Last Updated:
Vinod Kambli Suffering From Urine Disorder: ভিকি লালওয়ানির ইউটিউব চ্যানেলে বিনোদ কাম্বলি বলেছেন, “এখন ভাল আছি। স্ত্রী খুব যত্ন-আত্তি করেন। আমাকে তিনটি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘তোমাকে সুস্থ হতেই হবে’। অজয় জাদেজাও দেখতে এসেছিলেন। খুব ভাল লেগেছিল।”
1/7
হাত-পা কাঁপছে। উঠে দাঁড়াতে পারছেন না। চোখ-মুখ বসে গিয়েছে। প্রয়াত রমাকান্ত আচরেকরের স্মরণসভায় বিনোদ কাম্বলির এমন চেহারা দেখে শিউরে উঠেছেন অনেকেই। এক সময়ের বিশ্ব কাঁপানো বাম হাতি ব্যাটসম্যানের এহেন করুণ পরিণতি নিয়ে আলোচনা চলছে সর্বত্র। এই পরিস্থিতিতে বিনোদ কাম্বলিকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন ৮৩-এর বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যরা। তবে একটা শর্তে। তাঁরা জানিয়েছেন, কাম্বলিকে নিজে রিহ্যাবে যেতে হবে। এই নিয়ে প্রথমবার ক্যামেরার সামনে মুখ খুললেন বিনোদ কাম্বলি নিজেই।
হাত-পা কাঁপছে। উঠে দাঁড়াতে পারছেন না। চোখ-মুখ বসে গিয়েছে। প্রয়াত রমাকান্ত আচরেকরের স্মরণসভায় বিনোদ কাম্বলির এমন চেহারা দেখে শিউরে উঠেছেন অনেকেই। এক সময়ের বিশ্ব কাঁপানো বাম হাতি ব্যাটসম্যানের এহেন করুণ পরিণতি নিয়ে আলোচনা চলছে সর্বত্র।এই পরিস্থিতিতে বিনোদ কাম্বলিকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন ৮৩-এর বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যরা। তবে একটা শর্তে। তাঁরা জানিয়েছেন, কাম্বলিকে নিজে রিহ্যাবে যেতে হবে। এই নিয়ে প্রথমবার ক্যামেরার সামনে মুখ খুললেন বিনোদ কাম্বলি নিজেই।
advertisement
2/7
সাংবাদিক ভিকি লালওয়ানিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাম্বলি জানিয়েছেন, শারীরিক ও আর্থিক অবস্থার উন্নতি হলে তিনি রিহ্যাবে যেতে রাজি। পাশাপাশি নিজের শারীরিক অবস্থার কথাও জানিয়েছেন এই বাম হাতি ব্যাটসম্যান। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ইউরিন ডিসঅর্ডারে ভুগছেন। কয়েকদিন আগে অজ্ঞানও হয়ে গিয়েছিলেন।
সাংবাদিক ভিকি লালওয়ানিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কাম্বলি জানিয়েছেন, শারীরিক ও আর্থিক অবস্থার উন্নতি হলে তিনি রিহ্যাবে যেতে রাজি। পাশাপাশি নিজের শারীরিক অবস্থার কথাও জানিয়েছেন এই বাম হাতি ব্যাটসম্যান। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ইউরিন ডিসঅর্ডারে ভুগছেন। কয়েকদিন আগে অজ্ঞানও হয়ে গিয়েছিলেন।
advertisement
3/7
ভিকি লালওয়ানির ইউটিউব চ্যানেলে বিনোদ কাম্বলি বলেছেন, “এখন ভাল আছি। স্ত্রী খুব যত্ন-আত্তি করেন। আমাকে তিনটি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘তোমাকে সুস্থ হতেই হবে’। অজয় জাদেজাও দেখতে এসেছিলেন। খুব ভাল লেগেছিল।”
ভিকি লালওয়ানির ইউটিউব চ্যানেলে বিনোদ কাম্বলি বলেছেন, “এখন ভাল আছি। স্ত্রী খুব যত্ন-আত্তি করেন। আমাকে তিনটি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘তোমাকে সুস্থ হতেই হবে’। অজয় জাদেজাও দেখতে এসেছিলেন। খুব ভাল লেগেছিল।”
advertisement
4/7
সঙ্গে কাম্বলি বলেন, “ইউরিন ডিসঅর্ডারে ভুগছিলাম। কিছুই নিয়ন্ত্রণে ছিল না। এটা এক মাস আগের ঘটনা। মাথা ঘুরে পড়ে যাই। ছেলে জেসাস ক্রিশ্চিয়ানো তুলে দাঁড় করায়। আমার দশ বছরের এক মেয়েও আছে। স্ত্রীও পাশে দাঁড়িয়েছেন। ডাক্তার ভর্তি হতে বলেছিলেন।”
সঙ্গে কাম্বলি বলেন, “ইউরিন ডিসঅর্ডারে ভুগছিলাম। কিছুই নিয়ন্ত্রণে ছিল না। এটা এক মাস আগের ঘটনা। মাথা ঘুরে পড়ে যাই। ছেলে জেসাস ক্রিশ্চিয়ানো তুলে দাঁড় করায়। আমার দশ বছরের এক মেয়েও আছে। স্ত্রীও পাশে দাঁড়িয়েছেন। ডাক্তার ভর্তি হতে বলেছিলেন।”
advertisement
5/7
সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও মুখ খুলেছেন কাম্বলি। একটি রিয়ালিটি শো-তে “সচিন আমার পাশে দাঁড়াননি” বলে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। মনঃক্ষুন্ন হয়েছিলেন ক্রিকেট ঈশ্বরও। কাম্বলির সঙ্গে সম্পর্কেও চিড় ধরেছিল। অবশ্য ২০০৯ সালে ফের মিটমাট হয়। ২০১৩ সালে কাম্বলির ডাবল হার্ট অ্যাটাকের সময় সার্জারির টাকা যুগিয়েছিলেন সচিনই।
সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও মুখ খুলেছেন কাম্বলি। একটি রিয়ালিটি শো-তে “সচিন আমার পাশে দাঁড়াননি” বলে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। মনঃক্ষুন্ন হয়েছিলেন ক্রিকেট ঈশ্বরও। কাম্বলির সঙ্গে সম্পর্কেও চিড় ধরেছিল। অবশ্য ২০০৯ সালে ফের মিটমাট হয়। ২০১৩ সালে কাম্বলির ডাবল হার্ট অ্যাটাকের সময় সার্জারির টাকা যুগিয়েছিলেন সচিনই।
advertisement
6/7
সাক্ষাৎকারে কাম্বলি স্বীকার করে নেন, হতাশা থেকেই এমনটা বলেছিলেন। তবে তিনিই প্রথম এগিয়ে গিয়ে সমস্যা মেটান। কাম্বলির কথায়, “হতাশ ছিলাম। রাগের মাথায় বলে ফেলেছিলাম, সচিন পাশে দাঁড়ায়নি। ২০০৯ সালে আমিই প্রথম মেসেজ করেছিলাম।”
সাক্ষাৎকারে কাম্বলি স্বীকার করে নেন, হতাশা থেকেই এমনটা বলেছিলেন। তবে তিনিই প্রথম এগিয়ে গিয়ে সমস্যা মেটান। কাম্বলির কথায়, “হতাশ ছিলাম। রাগের মাথায় বলে ফেলেছিলাম, সচিন পাশে দাঁড়ায়নি। ২০০৯ সালে আমিই প্রথম মেসেজ করেছিলাম।”
advertisement
7/7
কাম্বলি যোগ করেন, “ডাবল হার্ট অ্যাটাক সামলানোর ক্ষমতা ক’জনের আছে বলুন তো? আমি সামলেছি। গাড়ি চালাতে চালাতে অজ্ঞান হয়ে যাই। স্ত্রী খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেই সময় সচিন অস্ত্রোপচারের পুরো টাকা দিয়েছিল।”ওয়াংখেড়েতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কাম্বলির ২২৪ রানের সেই অতুলনীয় ইনিংস আজও ক্রিকেট রসিকদের মনে গেঁথে রয়েছে। ভোলেননি কাম্বলিও। তিনি বলছেন, “আজীবন মনে থাকবে। কী অসাধারণ দল ছিল। অনিল কুম্বলে, রাজেশ চৌহান, ভেঙ্কটেশ প্রসাদ… অনেক ম্যাচ জিতেছি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দারুণ লড়াই হত। মুরলিকে বলতাম, ‘মুরলি, হাতটা তো সোজা কর।‘ তখন মাতৃভাষায় উত্তর দিত।" বলতে বলতে হাসছেন কাম্বলি। যেন সেই পুরনো কাম্বলি।
কাম্বলি যোগ করেন, “ডাবল হার্ট অ্যাটাক সামলানোর ক্ষমতা ক’জনের আছে বলুন তো? আমি সামলেছি। গাড়ি চালাতে চালাতে অজ্ঞান হয়ে যাই। স্ত্রী খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেই সময় সচিন অস্ত্রোপচারের পুরো টাকা দিয়েছিল।”ওয়াংখেড়েতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কাম্বলির ২২৪ রানের সেই অতুলনীয় ইনিংস আজও ক্রিকেট রসিকদের মনে গেঁথে রয়েছে। ভোলেননি কাম্বলিও। তিনি বলছেন, “আজীবন মনে থাকবে। কী অসাধারণ দল ছিল। অনিল কুম্বলে, রাজেশ চৌহান, ভেঙ্কটেশ প্রসাদ… অনেক ম্যাচ জিতেছি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দারুণ লড়াই হত। মুরলিকে বলতাম, ‘মুরলি, হাতটা তো সোজা কর।‘ তখন মাতৃভাষায় উত্তর দিত।" বলতে বলতে হাসছেন কাম্বলি। যেন সেই পুরনো কাম্বলি।
advertisement
advertisement
advertisement