চোখের সামনে এই প্রস্তাব শুনে পঞ্চায়েত স্তব্ধ হয়ে যায়। স্বামী ভাঙা গলায় হাতজোড় করে সভার সামনে অনুরোধ করেন—“তুমি আমাকে একা ছেড়ে দাও।”
আরও পড়ুন: বলুন তো, পৃথিবীতে মানুষ আগে এসেছিল না কুকুর? ৯৯% মানুষই জানেন না সঠিক উত্তরটি…
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বারবার বিবাদ হওয়ায় পরিবারের লোকেরা বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য পঞ্চায়েত ডাকেন। সেখানে প্রবীণ ও গ্রামবাসীর সামনে মহিলা খোলাখুলি জানিয়ে দেন তাঁর সিদ্ধান্ত—স্বামী ও প্রেমিকের মধ্যে সমানভাবে সময় ভাগ করে নেবেন তিনি।
advertisement
এমন প্রস্তাবের জবাবে স্বামী আবারও হাতজোড় করে বলেন—“আমাকে ক্ষমা করো, যাও প্রেমিকের সঙ্গেই থাকো।” স্বামীর এই বক্তব্য সকলের কানে পৌঁছতেই সভায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনাটি আজিমনগর ও টান্ডা থানা এলাকায় অবস্থিত দুটি গ্রামের। জানা গেছে, আজিমনগরের এক তরুণী দেড় বছর আগে পাশের গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
আরও পড়ুন: মৃ*ত্যুর পর কী হয়! মৃ*ত্যুকে ছুঁয়ে ফেরা ডাক্তারের সঙ্গে যা হয়েছে ভাবতে পারবেন না…
কিন্তু বিয়ের পরপরই ওই তরুণীর সঙ্গে টান্ডা এলাকার এক যুবকের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং তিনি তার সঙ্গে পালিয়ে যান। প্রতিবার স্বামী তাকে ফিরিয়ে আনলেও, মহিলা বারবার একই কাজ করেন। মোট ৯ বার পালানোর পর সম্প্রতি আবারও প্রেমিকের বাড়ি চলে যান তিনি। এবার স্বামী তাকে ফিরিয়ে আনতে গেলে তিনি সোজাসুজি অস্বীকার করেন। এতে পরিবার বাধ্য হয়ে পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয়।
পঞ্চায়েত চলাকালীন মহিলার অদ্ভুত দাবি শুনে সকলেই হতবাক হয়ে যায়। গ্রামবাসী প্রশ্ন তোলেন—এমন প্রস্তাব আদৌ কিভাবে মেনে নেওয়া যায়?
এ মুহূর্তে পরিস্থিতি অমীমাংসিত রয়ে গেছে। স্বামী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তিনি আর সম্পর্ক চালিয়ে যেতে চান না। তবে মহিলা নিজের সিদ্ধান্তেই অনড়—স্বামী ও প্রেমিকের মধ্যে সমানভাবে সময় কাটাবেন তিনি।