জানা গিয়েছে, ৩ তারিখ রাত ১২.১৫ মিনিট নাগাদ ঋষিকেশ রায়ের শেষ কথা হয়েছিল খুশির। তারপর পেরিয়ে গিয়েছে অনেক দিন। কিন্তু কোনওভাবে খোঁজ মিলছে না ঋষিকেশের। ঋষিকেশ রায় মঙ্গানে অবস্থিত তিস্তা উর্জা লিমিটেডে কর্মরত ছিলেন। বিগত ৫ বছর ধরে তিনি সেই সংস্থার অধীনে কাজ করতেন। প্রতিদিন ঘুমোতে যাবার আগে স্বামীর সঙ্গে কথা বলতেন খুশি রায়। কিন্তু শেষ কয়েক রাতে আর ঘুম আসছে না তাঁর।
advertisement
৩ তারিখ রাতেই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে গোটা উত্তর সিকিম বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। তিস্তার তলায় চলে গিয়েছে গোটা জাতীয় সড়ক। এর মধ্যেও ভালোবাসার টানে স্বামীকে খুঁজতে সিকিমের বাসে উঠে পড়লেন খুশি রায়। তিনি বলেন, “বিগত ৭ দিন ধরে আমার স্বামীর সঙ্গে কথা হয়নি। রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। ওদের কোম্পানির ১৪ জন এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ বলে জানতে পেরেছি। আমি জানিনা কোথায় আছে আমার স্বামী। তবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে আমার স্বামী সুস্থ অবস্থায় রয়েছে। তাকে খোঁজার উদ্দেশ্যে আমি আজ সিকিমে যাচ্ছি।”
অনির্বাণ রায়