দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী স্নেহলতা হেমব্রম৷ তাঁকে রিকাউন্টিং করে জিতিয়ে দিতে হবে বলে নাকি দাবি তোলা হয় স্থানীয় তৃণমূলকর্মীদের তরফে৷ এমনকি, অভিযোগ বিডিও অফিসেও চড়াও হন তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু কর্মী। বিডিও নিজেই একটি অফিশিয়াল গ্রুপে এ নিয়ে একটি বক্তব্য পোস্ট করেন বলে দাবি সুকান্তর।
advertisement
পাশাপাশি, বিডিও অফিসের বাইরের সিসিটিভি ফুটেজও ভাইরাল হয়েছে৷ সেই ভিডিও এবং লেখা নিয়েই ট্যুইট করেছেন সুকান্ত মজুমদার। ঘটনা ঘিরে তোলপাড় জেলা। তবে ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি নিউজ১৮ বাংলা।
গণনার দিন এই বিডিওর বিরুদ্ধেই কারচুপির অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দীর্ঘক্ষণ গণনা কেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। এবার সুকান্ত মজুমদার ট্যুইটে দাবি করলেন, তাঁদের জিতে যাওয়া প্রার্থীকে হারানোর চক্রান্ত করছে তৃণমূল কংগ্রেস৷
আরও পড়ুন:রাজনৈতিক হিংসা, ভোট কারচুপি, অত্যাচার! একগুচ্ছ নালিশ নিয়ে শাহের দরবারে সুকান্ত, হল বৈঠক
এই বিষয়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী স্নেহলতা হেমব্রম বলেন, “আমি ওখানে গিয়েছিলাম রিকাউন্টিং এর আবেদন করাতে। এরপর গিয়ে দেখি বিডিও সাহেব অফিসে নেই। তিনি অসুস্থ থাকার কারণে বাড়িতে ছিলেন। আমি কয়েকজন কর্মী সমর্থককে নিয়ে গেছিলাম। কোনও রকম চাপ দেওয়ার হয়নি৷ উনি এটা সত্য বলছেন না। উনি তো আমাদেরই লোক।”
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমাদের প্রার্থী জেতার পর থেকেই তাঁকে সার্টিফিকেট না দিয়ে নানান রকম চক্রান্ত চলছিল। সেই চক্রান্ত ভোটের ফলাফল হবার পরও শেষ হয়নি। তৃণমূলের গুন্ডারা বিডিওকে গিয়ে ফোন করে ধমকাচ্ছে। এই বিডিও জোর করে আমাদের বিজেপি প্রার্থীদের পঞ্চায়েত ভোটে হারিয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। সেই বিডিও তাঁর অফিশিয়াল গ্রুপে লিখতে বাধ্য হয়েছেন, তৃণমূলের কিছু গুন্ডা তাঁকে ধমকাচ্ছে চমকাচ্ছে, যাতে তিনি স্নেহলতা হেমব্রমকে সার্টিফিকেট দেন। ফলে বোঝাই যাচ্ছে নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে এবং বিডিও এই প্রহসনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত। অনেক জায়গায় বিজেপি প্রার্থীদের হারিয়ে তৃণমূলে সার্টিফিকেট দিয়ে দেন।”
সুস্মিতা গোস্বামী