জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে গাজোলের বাসিন্দা রথীন্দ্রনাথ কুন্ডু তাঁর মেয়ের চিকিৎসা করান মালদহ শহরের একজন চিকিৎসকের কাছে। সেই সময় খেলতে গিয়ে তার নয় বছরের মেয়ে পায়ে আঘাত পায়। প্রথমে মালদহ শহরের এক চিকিৎসকের কাছে চেম্বারে চিকিৎসা করান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর এক্সরে করে চিকিৎসক মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অথবা বেসরকারি হাসপাতালে রোগীকে ভর্তি করার পরামর্শ দেন।
advertisement
রথীন্দ্রনাথ অবশ্য তাঁর মেয়েকে বেসরকারি নার্সিংহোমেই ভর্তি করেন। সেখানে দুজন চিকিৎসক তাঁর মেয়ের অস্ত্রোপচার করে। কিন্তু তারপরেও রোগী সুস্থ না হয়ে ওঠায় একাধিকবার চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে চিকিৎসকেরা ওই রোগীকে কলকাতায় রেফার করেন।
আরও খবর: বাংলাদেশের সংবিধান থেকে বাদ যেতে পারে ধর্মনিরপেক্ষতা! ইউনূসের আমলে বিরাট পরিবর্তনের ইঙ্গিত
রবীন্দ্রনাথ পরবর্তীতে মেয়েকে দক্ষিণ ভারতে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করান। প্রায় একমাস চিকিৎসার পর পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠে। সেখানেও চিকিৎসকেরা মালদহে ভুল চিকিৎসা করানোর অভিযোগ তোলে। মেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার পর রথীন্দ্রনাথ বাবু সেই সময় মালদহ ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন।
কলকাতার হাসপাতালের তালিকা জানতে ক্লিক করুন: https://www.local18.in/kolkata/
রথীন্দ্রনাথ কুন্ডু বলেন, “আমি খালি চোখেই দেখতে পাচ্ছি আমার মেয়ের ভুল চিকিৎসা হয়েছিল। পায়ের সমস্যা, পেটের অপারেশন হয়েছিল। পরে দক্ষিণ ভারতের চিকিৎসা করিয়ে মেয়েকে সুস্থ করি। মেয়ে সুস্থ হয়ে উঠলে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হই। প্রায় ছয় বছর পর আদালত রায় দিয়েছে। আমি খুশি”।
বিভিন্ন সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে চিকিৎসক ও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। মালদহ জেলা ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের সহকারী অধিকর্তা তন্ময় সেনগুপ্ত বলেন, “মালদহ শহরের বিশিষ্ট চিকিৎসক ও একটি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। ভুল চিকিৎসার অভিযোগ করেন তিনি। আদালত রায় দিয়েছে। অভিযুক্তদের ৬ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।”