স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তপনের হরসুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের শান্তিরহাটি এলাকার বাসিন্দা পেশায় কৃষক আফসার সরকার। প্রায় ৮ বিঘা জমি রয়েছে তাঁর নামে। এক বছর আগে তাঁর একমাত্র ছেলে গোলাপ সরকারের মৃত্যু হয়। তারপর থেকেই বউমা বাবলি বিবি তাঁর সম্পত্তি হাতানোর চেষ্টা করছিল বলে অভিযোগ। নিজের নাবালক সন্তানকে দেখিয়ে স্থানীয় হরসুরা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রবি কুজুরের কাছ থেকে শ্বশুরের মৃত্যুর ভুয়ো শংসাপত্র তৈরি করে নেয় বাবলি। এরপর ২০২১ সালের জুন মাসে তা দেখিয়ে আদালত থেকে নথি বার করে শ্বশুরের কৃষকবন্ধু প্রকল্পের ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা তুলে নেন। শুধু তাই নয় বৃদ্ধের নামে থাকা ৮ বিঘা জমি হাতিয়ে নেওয়ারও চেষ্টা করেন তিনি। দিন কয়েক আগে বৃদ্ধের বাড়িতে বেড়াতে এসে একটি ব্যাগে রাখা ওই আদালতের নথি দেখতে পান তাঁর এক মেয়ে। আকাশ ভেঙে পড়ে সকলের মাথায়। এরপরেই ঘটনা জানিয়ে তপন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই বৃদ্ধের স্ত্রী মর্জিনা বিবি।
advertisement
আরও পড়ুন: স্কুল খুলে কবে, কীভাবে হবে অষ্টম-দ্বাদশের ক্লাস? নির্দেশিকা জারি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের
এ দিকে, নিজেকে জীবিত প্রমান করতে ২৮ জানুয়ারি শুক্রবার ফের আদালতের মাধ্যমে একটি নথি বার করে নেন ওই বৃদ্ধ। সোমবার ওই ঘটনা জানিয়ে বিডিওর দ্বারস্থ হন তিনি। একজন জীবিত ব্যক্তির মৃত শংসাপত্র কীভাবে পঞ্চায়েত দিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সকলেই। বৃদ্ধ আফসার সরকার বলেন, 'মেয়ে ওই কাগজ হাতে না পেলে জানতেই পারতেন না পঞ্চায়েত প্রধানের সহায়তায় তাঁকে মৃত বানিয়ে ফেলেছে তার বউমা। অভিযুক্তদের সকলের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি চাই। বৃদ্ধের দুই আত্মীয় জানান, এমন ঘটনা কখনওই মেনে নেওয়া যায়না। পুলিশ প্রশাসনকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: ৭৫ শতাংশ দর্শক প্রবেশের অনুমতি সিনেমা হলে, ব্যবসা বাড়ার আশায় মালিকপক্ষ
তপন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রাজু দাস বলেন, ঘটনাটি শুনেছি ওই বৃদ্ধ বেঁচে রয়েছেন। বিডিওর সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে আইনত পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। যদিও হরসুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রবি কুজুর জানিয়েছেন, ভুল করে আফসার সরকারের নামের আগে মৃত শব্দটি বসে গিয়েছে। তিনি জীবিত রয়েছেন। তার ভুলের ওই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাবলি ওই টাকা তুলে নিয়েছে। যদিও অভিযুক্ত বউমা বাবলি বিবি জানিয়েছেন, ওই শংসাপত্রটি পঞ্চায়েত থেকেই দেওয়া হয়েছে। তিনি কোনও টাকা পাননি।
Anup Sanyal