গোসানিমারি গড় বা রাজপাটে প্রবেশের মুখে একটি বোর্ডে জায়গাটির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস সম্পর্কে লেখা রয়েছে। যা দেখে যে যেকোনও পর্যটক সহজেই বুঝতে পারবেন এখানের ইতিহাস সম্পর্কে। এখানে ঘুরতে আসা এক স্থানীয় পর্যটক রাজু বর্মন জানান, “বর্তমানে এখানে আর তেমন কিছু খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে এখানে আছে রাজ আমলের ইঁটের তৈরি দুটি পাত কুয়ো। সেগুলো সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। সর্বশেষ এখানে একটি পুকুর খননের সময় পাওয়া গিয়েছিল মন্দিরের দু’টি গম্বুজ। সেটিকে আপাতত একটি বাড়িতে পুজো করা হয় ভগবান রূপে।”
advertisement
আরও পড়ুন – Spenser Jhonson: ২.৮ কোটিতে কেকেআর পরিবারের নতুন সদস্য স্পেনসার, কে তিনি যাঁর জন্য নিলামে লড়ল নাইট বাহিনী
এখানে ঘুরতে আসা পর্যটক সুজিত দে জানান, “গোসানিমারি গড়ের একটি পাশে আছে রাজ আমলের খনন করা একটি পুকুর। বর্তমানে এটিকেও সংরক্ষণ করে রাখা রয়েছে। গোসানিমারি গড়ের পেছনের দিকে একটি সংগ্রহশালা আছে। তবে সেটা আপাতত বন্ধ করে রাখা রয়েছে। এখানে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনও মূল্য লাগে না। এছাড়া যেকোনও যানবাহনের মাধ্যমেই এখানে পৌঁছনো সম্ভব। তবে এখানে বাইরে থেকে কোনও খাওয়ার জিনিস নিয়ে প্রবেশ করা যায় না।”
এখানে আসা আরেক পর্যটক সুশান্ত বর্মন জানান, “কোচবিহারের দীর্ঘ পুরনো পুরাকীর্তি গুলোর মধ্যে অন্যতম হল এই গোসানিমারি গড় বা রাজপাট। বাইরে থেকে প্রচুর পর্যটক আসেন জায়গাটি দেখতে। বর্তমানে এটি সম্পূর্ণ সংরক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া।” বর্তমানে এই জায়গাটির গুরুত্ব রয়েছে গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতের মধ্যে। আগামীদিনে এই জায়গাটি আরোও ভাল করে সংরক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন জেলার মানুষেরা। দীর্ঘ সময় ধরে বহু ইতিহাস অনুসন্ধানী পর্যটকদের কাছে এই জায়গার গুরুত্ব অপরিসীম।
Sarthak Pandit





