কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, এই অতিরিক্ত গরমের পেছনে মূল কারণ হচ্ছে বৃষ্টির ঘাটতি। শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, অসম, অরুণাচল প্রদেশ থেকে শুরু করে বিহার কোথাও প্রত্যাশিত পরিমাণে বর্ষণ হচ্ছে না। বর্ষার মরশুমে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত না হওয়ায় চা-বাগানের উৎপাদনে টান পড়ছে, কৃষিকাজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
advertisement
এমনকি পর্যটকরাও অস্বস্তিতে পড়ছেন অতিরিক্ত আর্দ্রতা ও গরমে।সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, পরিবেশের সামগ্রিক বাস্তুতন্ত্র পরিবর্তিত হচ্ছে বলেই এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জলবায়ুর ভারসাম্য নষ্ট হলে যেমন বৃষ্টির পরিমাণ কমে যায়, তেমনই তাপমাত্রা বাড়তে থাকে দ্রুত। ফলে বর্ষা থাকলেও স্বস্তির বদলে অস্বাভাবিক গরমই চেপে বসছে মানুষের জীবনে।এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে সচেতন হওয়ার বার্তা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিবেশ রক্ষা, গাছ লাগানো, জল সংরক্ষণ সবই জরুরি।
পাশাপাশি অতিরিক্ত গরম থেকে রেহাই পেতে পর্যাপ্ত জলপান, হালকা খাবার গ্রহণ এবং রোদে বেশি সময় না বেরোনোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। আবহাওয়া দফতর আশঙ্কা করছে, আগামী কয়েক বছর এই ধরণের অস্বাভাবিক আবহাওয়া আরও তীব্র হতে পারে যদি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা না করা যায়। তাই মানুষকে এখনই সতর্ক হতে হবে। পরিবেশকে বাঁচালে তবেই স্বস্তি মিলবে গরম থেকে, আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে বর্ষাও।
Surojit Dey