৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকারের তরফে জলের রিজার্ভার বানানো হলেও, সেই রিজার্ভার থেকে জল মিলেছে মাত্র একবার। এখন পাতকুয়োর জলই ভরসা। স্থানীয়দের কথায়,পানীয় জল সংকট মেটানোর জন্য ৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়নি বরং সেই পাঁচ কোটি টাকা জলেই গিয়েছে। তারপর আর ফিরেও তাকায় নি কেউ।ভোট আসে ভোট যায়, জলের পিপাসা আর মেটে না এই সীমান্ত গ্রামের।
advertisement
আরও পড়ুন – KKR Mistakes: দুরন্ত ম্যাচে রুদ্ধশ্বাস জয়, কিন্তু শাহরুখের দল যে ভুলগুলি আর করতে চাইবেন না
জল প্রকল্পে জমিদাতা আজ পরিযায়ী শ্রমিক। জলপাইগুড়ি লোকসভা আসনের অন্তর্গত দক্ষিণ বেরুবাড়ী অঞ্চল, যে গ্রামে শেষ হয় দেশের ভৌগলিক সীমানা। ওপারে রয়েছে বাংলাদেশ। স্বাধীনতার সময় থেকেই বহু বার সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছে এই সীমান্তবর্তী গ্রামটি। কখনও ছিট মহল আবার কখনও অ্যাডভার্স ল্যান্ড বিতর্ককে ঘিরে বারবার হয়েছে শোরগোল । তবে এবারের কাহিনী আশপাশের পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত মিলিয়ে বসবাসকারী প্রায় ছয় হাজার মানুষের তৃষ্ণা নিবারণের।
গত বিধানসভা ভোটের আগে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন বোর্ড এর পক্ষ থেকে গ্রামবাসীদের দীর্ঘ দিনের করা পানীয় জলের দাবি মেটাতে উদ্যোগী হয়।দীর্ঘ দিনের জলকষ্ট মেটানোর কাজ শুরু হবে শুনেই এগিয়ে আসেন গ্রামের মেয়ে বাবলি দাস দে। জমি দান করেন জল প্রকল্পের জন্য। সেই থেকেই অপেক্ষা বিশুদ্ধ পানীয় জলে পিপাসা মেটানোর পাশপাশি, সরকারী চুক্তি অনুযায়ী জমি দাতা হিসেবে পরিবারের এক সদস্যের চাকরি পাওয়ার। যদিও সে সবই এখনও বিশ বাও জলে। জীবিকার টানে নিজের ভাই আজ পরিযায়ী শ্রমিক। অপরদিকে, সীমান্ত গ্রাম দক্ষিণ বেরুবাড়ি অঞ্চলে নির্মিত নীল সাদা রঙের জলাধারটির সামনে দাঁড়িয়ে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে এলাকার বাসিন্দা লোকমান মণ্ডলের সাফ কথা, উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে চোখের সামনে।
Surajit Dey