জলপাইগুড়ির ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানের এক অচেনা গল্পের শুরু এভাবেই! চা বাগান এলাকার বর্ষা অসম্ভব ফুটবলপ্রেমী। যার কল্পনায় ফুটবলের প্রতি অসম্ভব ভালবাসা ও স্বপ্ন। ছোটবেলায় দিদির ফুটবল খেলার প্রতি আগ্রহ দেখে তারও মনে ফুটবল খেলোয়াড় হওয়ার ইচ্ছা জেগেছিল। কিন্তু জীবনের কঠিন বাস্তবতা, অভাবের কারণে দিদিকে মাঠ ছেড়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়। সেই থেকেই বর্ষার মনে ফুটবল খেলোয়াড় হওয়ার প্রবল আগ্রহ জন্ম নেয়।
advertisement
তবে সে জানতো, যদি তার স্বপ্ন সত্যি করতে হয়, তবে তাকে নিজেই কিছু করতে হবে। সে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আর্জেন্টিনার মেসির ফুটবল খেলার বিভিন্ন ক্লিপিং দেখে শিখতে শুরু করে। বাড়ির এক কোণায় বসে মেসির পায়ের কারিগরি রপ্ত করতে থাকে, আর মাঠে গিয়ে সেগুলো অনুশীলন করে। পরে খোঁজ মেলে এলাকারই ফুটবল কোচ অমিতের। কোচের সঙ্গে তার প্রথম সাক্ষাতে অমিত বুঝতে পারেন, বর্ষার মধ্যে এক অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও মনোবল রয়েছে। অমিত তাকে মাঠে নিয়মিত অনুশীলনের পরামর্শ দেন, এবং তার স্বপ্নপূরণের পথে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়।
আরও পড়ুনঃ Rinku Singh Engagement: ভারতীয় ক্রিকেটে বিয়ের সাঁনাই! বাগদান সারলেন কেকেআর তারকা রিঙ্কু সিং
তারপর বর্ষাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয় নি। একদিকে, চা বাগানের কঠোর কাজকর্ম, অন্যদিকে স্বপ্ন পূরণের অদম্য প্রচেষ্টা চলতে থাকে তাল মিলিয়ে। জমানো টাকা থেকেই ফুটবলের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনে চলতো প্রস্তুতি। শেষমেশ, তার কঠোর পরিশ্রম ও নিবেদিত মনোভাব তাকে নিয়ে যায় ভারতের মধ্যপ্রদেশের ইন্ডিয়ান মহিলা প্রিমিয়ার লীগে, যেখানে সে নিজের স্থান তৈরি করে নিয়েছে। বর্ষার এই যাত্রা প্রমাণ করে, যেখানে অদম্য ইচ্ছা সেখানে উন্মোচিত হয় নয়া পথ!
সুরজিৎ দে





