দেওয়াল লিখন কর্মী বাবু বর্মন জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে এই দেওয়াল লিখন পেশার সঙ্গে যুক্ত তিনি। শুধুমাত্রই জেলার মধ্যে নয়, জেলার বাইরে ও বিভিন্ন জেলায় ডাক পড়ে তাঁদের। যে সময়ে দেওয়ার লিখনের কাজ থাকেনা। সেই সময় কৃষি কাজ করতেই ব্যস্ত থাকেন তাঁরা। তবে বহু সরকারি কাজ রয়েছে, যেগুলির সময় তাঁদের ডাক পড়ে। তখন কৃষি কাজ বন্ধ করে এই কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তাঁরা। এই কাজ করে প্রায় মাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন হয় তাঁদের।”
advertisement
আরও পড়ুন: নিহত ‘চিরপরিচিত’ বাবলার বাড়িতে মমতা, দুঃখেও বড় বার্তা! ‘রহস্যফাঁস’ চান নেত্রী
আরেকজন দেওয়াল লিখন কর্মী সামসের হক জানান, “যদিও বর্তমানে কাজের চাহিদা একেবারেই কম। ভোটের সময় এবং সামান্য কিছু সরকারি কাজ ছাড়া তাঁদের খোঁজ কেউ নেয় না। তবে এই কাজ দীর্ঘ সময় ধরে করার জন্য তাঁদের এই কাজের প্রতি আলাদা টান রয়েছে। তাই ডাক পড়লেই হাজির হন তাঁরা। দীর্ঘ সময় ধরে এই কাজ করে বেশ ভাল টাকা রোজগার করেছেন তিনি। এখনোও সরকারি কাজ হলে বেশ ভাল টাকা রোজগার করতে পারেন তাঁরা। তবে যখন কাজ থাকে না তখন ধান, গম কিংবা ভুট্টা চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তিনিও।”
আরও পড়ুন: ঠান্ডা কি টাটা বাই বাই? শীতের কামড় আর কি ফিরবে? আবহাওয়ার বড় খবর
দীর্ঘ সময় ধরে এই শিল্পীদের কদর দিনে দিনে কমে আসছে। আধুনিকতার এই যুগে ব্যানার পোস্টার কিংবা লিফলেট বাজার দখল করেছে অনেকটাই। তাইতো বর্তমান সময়ে বিশেষ কিছু কারণ ছাড়া এই শিল্পীদের আর ডাক পড়ে না। তবুও ভালোবাসার টানেই সম্পূর্ণ পেশাবদল করতে রাজি নন এই দুই দেওয়াল লিখন কর্মী।
Sarthak Pandit