সেই মতোই বাড়ি বাড়ি গিয়ে ‘ভূতুড়ে ভোটার’ খুঁজে বার করার কাজ শুরু করলেন আঠারোখাই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান যুথিকা রায় খাসনবীস, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ অভিজিৎ পাল সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। এদিকে একই এপিক নম্বরে দু’জন ভোটার আছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। ‘ভূতুড়ে’ ভোটার চিহ্নিত করতে তাই প্রত্যেকের দুয়ারে যাচ্ছেন প্রধান। আঠারোখাই গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে ভোটার তালিকা হাতে নিয়ে স্ক্রুটিনির কাজ করতে দেখা গেল তাঁকে। প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার কার্ড দেখেন এবং কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে।
advertisement
এর পাশাপাশি কোন অসুবিধা হলে দ্রুত প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতেও বলা হয়। এই প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ অভিজিৎ পাল জানান এর আগে একই এপিক নম্বরে উঠে এসেছিল ভিন রাজ্য গুজরাটের নাম তারপরেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্ত কিছু ঠিক করে তার ভোটার কার্ডটি সংশোধন করা হয়। সেই অর্থেই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে এবার ভূতুড়ে ভোটার খুঁজতে রাস্তায় নেমেছে প্রশাসন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রত্যেকের এপিক নম্বরের তথ্য ও অনলাইন পোর্টালে ঠিকঠাক রয়েছে কিনা তা সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি এমন কোন ঘটনা হলে দ্রুত স্থানীয় প্রশাসনের দারস্ত হওয়ার জন্য আবেদন করা হচ্ছে। প্রশাসনকে বিষয়টি জানালে প্রশাসন দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়ে সমস্যার সমাধান করবে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই জেলায় জেলায় ব্লকের ব্লকে শুরু হয়েছে ভুতুড়ে ভোটার খোঁজার অভিযান। প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার লিস্ট খতিয়ে দেখার সঙ্গে সঙ্গে অনলাইন পোর্টালে এপিক নম্বর দিয়ে সমস্ত তথ্য ঠিকঠাক রয়েছে কিনা তা দেখা হচ্ছে পাশাপাশি ভোটারদের সচেতন করা হচ্ছে।
সুজয় ঘোষ





