এছাড়াও কয়েক বিঘা জমি, আম বাগানও ইতিমধ্যে গঙ্গাগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে শুরু হয়েছে রতুয়ার মহানন্দাটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের কান্তটোলা এলাকায় গঙ্গার ভাঙন। আর বুধবার ভোর থেকেই কমপক্ষে ৫০টি পরিবার নিজেদের বাড়িঘরের সমস্ত আসবাবপত্র সরিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। মহানন্দাটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের কান্ততলা গ্রামের পাশ দিয়েই বয়ে গিয়েছে গঙ্গা। গত কয়েক বছর ধরেই সামান্য ভাঙন চলছিল এলাকায়। গত কয়েকদিন ধরে এই ভাঙ্গন ব্যাপক ভয়ংকর আকার ধারণ করেছে। আগে থেকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙন রোধের কোন ব্যবস্থা করা হয়নি। দুই দিন ধরে ভয়াবহ ভাঙন সৃষ্টি হওয়ায় তৎপরতা শুরু হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও। ভাঙন কবলিত এলাকায় শুরু হয়েছে বস্তা ফেলে ভাঙন রোধের কাজ।
advertisement
আরও পড়ুন: দুর্গা পুজোর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী! বিখ্যাত এই ক্লাবের থিম এবার ‘হে দোলা’!
দূর্গতদের পাশে দাঁড়াতেএদিন কান্তটোলা এলাকায় গঙ্গার ভাঙন পরিস্থিতি তদারকিতে যান মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা বর্মন ঘোষ, স্থানীয় বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় সহ প্রশাসনের এক প্রতিনিধি দল। সভাধিপতি সেখানে দাঁড়িয়ে ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের বিকল্প আশ্রয় ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকার সরকারি স্কুলে থাকার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি তাদের সবরকম সহযোগিতা করা এবং পুনর্বাসনেরও উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা বর্মন ঘোষ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে দফায় দফায় রতুয়া ১ ব্লকের মহানন্দাটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের কান্তটোলা এলাকায় গঙ্গার ভাঙন শুরু হয়েছে। বুধবার ভোরে দশটি বাড়ি গঙ্গাগর্ভে তলিয়ে যায়। যদিও ভাঙনের আগাম আঁচ পেয়ে ওই পরিবারগুলি আগেভাগেই ঘরের জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়েছিল । রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায় বলেন, আপাতত দুর্গতদের ত্রাণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাদের পুনর্বাসনের জন্য আগামীতে ব্যবস্থা করা হবে।
হরষিত সিংহ





