দোকানের এক গ্রাহক সোমনাথ দাস জানান,”দীর্ঘ সময় ধরে তিনি দাবা খেলতে পছন্দ করেন। তবে জেলার কোনও চায়ের দোকানে দাবা খেলার আসর তিনি দেখেননি। তাই প্রথম এই চায়ের দোকানে এসে অনেকটাই অবাক হয়েছিলেন তিনি। তবে বর্তমানে তিনি দেখেন বহু মানুষকে এখানে এসে দাবা খেলতে। সঙ্গে চায়ের আড্ডায় সময় কাটাতে। তাই তিনি প্রায়শই এখানে এসে থাকেন।” দোকানের কর্ণধার দেবাশীষ অধিকারী জানান,”এখানে যেমন দাবা জানা মানুষেরা আসেন দাবা খেলতে। তেমনি দাবা না জানা মানুষেরাও আসেন দাবা খেলা দেখে তা শেখার জন্য।”
advertisement
দোকানের আরও দুই গ্রাহক গনেশ সূত্রধর এবং কৌশিক দে জানান,”বর্তমানে শীতের আমেজ পড়তে শুরু করেছে। তাই শীতের সন্ধ্যায় কাজ শেষে চায়ের আড্ডায় অনেকেই এসে থাকেন। তবে সেই আড্ডার আসর অনেকটাই জমে যায়। যখন সেই চায়ের আড্ডার আসরে থাকে দাবা খেলার আয়োজন। অনেকেই এই দাবা খেলতে দূর থেকে এখানে এসে থাকেন। তবে এখানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও চায়ের আমেজে দাবা খেলা উপভোগ করার মজাটাই যেন আলদা। প্রতিদিন সন্ধ্যায় কাজ শেষে তাঁরা দুজনেই এখানে আসেন দাবা খেলার সঙ্গে চায়ের আড্ডায় মেতে উঠতে।”
আরও পড়ুনঃ ‘রেড লাইট’ এলাকার মহিলাদের সঙ্গে কী ঘটছে? চাঞ্চল্যকর অভিযোগ যৌন কর্মীদের
জেলায় বহু চায়ের দোকান থাকলেও এই ধরনের চায়ের দোকান জেলায় নেই বললেই চলে। তাইতো প্রতিদিন এই চায়ের দোকানে গ্রাহকের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সকাল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত বহু মানুষ এই চায়ের দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন। রকমারি চায়ের স্বাদের পাশাপশি দাবা খেলার মেতে উঠতে বহু মানুষ ছুটে আসছেন শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই দোকানে। আগামীতে এই দোকানের গ্রাহক সংখ্যা আরোও বাড়বে এটুকু নিশ্চিত।
Sarthak Pandit