বিশেষ সন্দেশ বিক্রেতা মদন চক্রবর্তী জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে রথের মেলায় এলেই তাঁর দোকান নিয়ে তিনি হাজির হন। বছরের অন্যান্য সময় রান্নার বিভিন্ন কাজ এবং পুজো করিয়ে থাকেন তিনি। বর্তমান সময় তাঁর বয়স ৫০ বছর। ছোটবেলা থেকেই তিনি দেখতেন তাঁর বাবাকে দোকান দিতে। তাঁর বাবার পরবর্তী সময় থেকে এখন তিনি দোকান দেন। তবে দীর্ঘ সময় বাদেও এই সন্দেশের জনপ্রিয়তা বিন্দুমাত্র কমেনি কোচবিহারের বুকে। দূরদূরান্তের ভক্তবৃন্দরা মদনমোহনের মন্দিরে এলেই এই সন্দেশ কিনে উৎসর্গ করেন। তাইতো দীর্ঘ সময় বাদেও এই দোকান করছেন তিনিই প্রতিবছর।”
advertisement
আরও পড়ুন – Ind vs Zim: শুভমান গিলের ব্যাটে ঝড়, জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে সহজ জয় টিম ইন্ডিয়ার , সিরিজে এগোল মেন ইন ব্লু
তিনি আরোও জানান, “তাঁর বাবা মদনমোহন দেবের এক বিরাট ভক্ত ছিলেন। তাই তো জন্মের পর তাঁর নাম তাঁর বাবা রাখেন মদন। বর্তমান সময়ে তাঁর এই মিষ্টির পাশাপাশি তিনিও সমান জনপ্রিয়। বহু মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে তার নাম খুঁজে দোকানে এসে এই ভোগের মিষ্টি কেনেন। আবার অনেকে তো তাঁর নাম নিয়ে কৌতুহল প্রকাশ করেন।”
মিষ্টির দোকানের এক গ্রাহক শংকর দাস জানান, “কোচবিহারের মদনমোহন দেবের ভোগের এই সন্দেশ অত্যন্ত সুস্বাদু। তাই দূর-দূরান্ত থেকে আসা বহু মানুষ এমনিও এই সন্দেশ কিনে নিয়ে যান।”
বর্তমান সময়ে মদন চক্রবর্তীর নামের এই ব্যক্তি এই মিষ্টি বিক্রি করেই বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন। বহু মানুষ এই ব্যক্তির তৈরি সন্দেশ কিনতে তাঁর দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন। বর্তমানে রীতিমত নাওয়া-খাওয়া ভুলে প্রতিনিয়ত সন্দেশ তৈরি ও বিক্রি করে চলেছেন তিনি। আগামীতে ওই দোকান তিনি চালিয়ে যাবেন এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। রথের মেলা আসলেই দোকানের পসরা সাজিয়ে বসেন এই ভাইরাল মিষ্টান্ন বিক্রেতা।
Sarthak Pandit