প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ডাকের সাড়া দিয়ে অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সুকান্ত মজুমদারের ত্রাণ সংগ্রহের বাক্সে টাকা দিয়ে। আর সুকান্তর এই ‘কর্মকাণ্ড’ নিয়েই বিস্ফোরক কটাক্ষ ছুঁড়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এক্স হ্যান্ডেলে সরব হয়ে কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তোলেন, “ওওও বিজেপি, ত্রাণ সংগ্রহের নাটক কেন?”
ডাক্তারি ছেড়ে IAS অফিসার! এখন ৫১ কোটি টাকার ঘুষকাণ্ডে নাম জড়াল যে কারণে… স্ত্রীও আমলা!
advertisement
চিতার মতো ‘স্পিড’! দেশের এই শহরে ট্রেন চলে জলের তলায়! চড়তে হলে নামতে হবে ১১তলা গভীরে
তিনি সরাসরি বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বাংলাকে ‘দুয়োরাণী’ সুলভ আচরণ করার অভিযোগ এনেছেন। কুণালের বক্তব্য, অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কেন্দ্রের থেকে ত্রাণ বরাদ্দ পেলেও পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে কেন এমন বঞ্চনা? তিনি লেখেন, “প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণেও অন্য রাজ্য বরাদ্দ পেলে বাংলা বঞ্চিত কেন?” রাজ্যের জন্য বন্যাত্রাণ আটকে রেখে সুকান্তরা আসলে “ত্রাণ সংগ্রহে টাকা তুলতে ঘুরছে, নাকি ছবি তুলতে?”
এই প্রশ্ন তুলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের এই মুখপাত্র। প্রসঙ্গত, এর আগেও উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি দেখতে যাওয়া বিজেপি নেতাদের ‘ছবি তোলার’ চেষ্টা বলে কটাক্ষ করেছিলেন কুণাল ঘোষ। বিধ্বংসী বন্যায় দার্জিলিং, মিরিক-সহ উত্তরবঙ্গের একাংশ ধসে যাওয়ার পর পরিদর্শনে গিয়ে স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মূ ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। এই ঘটনা টেনে কুণাল মন্তব্য করেছিলেন- বন্যা পরিস্থিতিতে শুধু ‘ফটো তুলতে গেলে তো মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তেই হবে’। সুকান্তর এই ত্রাণ সংগ্রহ নিয়েও এদিন তিনি কার্যত একই সুরে ‘ছবি তোলা’র অভিযোগ তুলেছেন। ‘তৃণমূলের গুন্ডারাই আক্রমণ করেছে’ বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
অন্যদিকে, বিজেপির পক্ষ থেকেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শানানো হয়েছে। নাগরাকাটায় সাংসদ-বিধায়কের ওপর হওয়া আক্রমণ আসলে তৃণমূলের ‘গুন্ডাদের’ কাজ বলে পাল্টা তোপ দেগেছে বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারী-সহ গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে তৃণমূলের দিকে তোপ দাগা হয়েছে। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র, অমিত মালব্য, শেহজাদ পুনাওয়ালা প্রমুখরা একযোগে অভিযোগ করেছেন, “তৃণমূল বাংলাকে জঙ্গলের রাজত্বে পরিণত করেছে।”
তবে উত্তরবঙ্গের বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহের এই উদ্যোগে সুকান্তর আন্তরিকতা নাকি কুণাল ঘোষের কটাক্ষ- কোনটা সত্যি, সেই প্রশ্নই এখন রাজ্য রাজনীতিতে ঘোরাফেরা করছে। যদিও রাজনৈতিক মহলের অনেকেই সুকান্ত মজুমদারের ত্রাণ সংগ্রহের ঘটনাকে বা তার পদ্ধতিতে বাম আমলের কৌটো নাড়িয়ে চাঁদা তোলার ঘটনার সঙ্গে তুলনা টেনে রাজনৈতিক তরজা শুরু করেছেন।