TRENDING:

একসময় ছিল ব্যাপক কদর, এখন একদিনের জন্য‌ই বেঁচে থাকা! অস্তিত্বের সংকটে বাঙালির নস্ট্যালজিয়া

Last Updated:

Mahalaya on Radio: প্রথমে টেলিভিশন, পরে স্মার্টফোনের হাত ধরে বিনোদনের ধরণ বদলে গিয়েছে। রঙিন পর্দা আর মোবাইল অ্যাপের দাপটে ধীরে ধীরে হারিয়ে গিয়েছে রেডিওর 'কণ্ঠ'

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
শিলিগুড়ি, ঋত্বিক ভট্টাচার্যঃ একসময় সকালের খবর, বিকেলের নাটক কিংবা গানের অনুষ্ঠান- সবই রেডিওয় ভেসে আসত। পরিবারের সকলে বসে রেডিও শোনা ছিল যেন এক অন্যরকম উৎসব। নতুন রেডিও বাড়িতে এলেই ছড়িয়ে পড়ত আনন্দের আবহ।
advertisement

শহরের প্রবীণ নাগরিক গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্য সেই দিনগুলির কথা স্মরণ করে বলেন, ‘আমাদের দাদু-ঠাকুরদাদের শৈশব-যৌবনের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে রেডিও। খবর, গল্প, সংগীত থেকে শুরু করে সরাসরি সম্প্রচার- সবই মিলত এক যন্ত্রে। প্রিয় অনুষ্ঠান শোনার জন্য মানুষ সারাদিন অপেক্ষা করত’।

আরও পড়ুনঃ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মিস! বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের সঙ্গে গ্রামবাসীরা যা করলেন…! জোর শোরগোল

advertisement

এখন অবশ্য সময় বদলেছে। প্রথমে টেলিভিশন, পরে স্মার্টফোনের হাত ধরে বিনোদনের ধরণ বদলে গিয়েছে। রঙিন পর্দা আর মোবাইল অ্যাপের দাপটে ধীরে ধীরে হারিয়ে গিয়েছে রেডিওর ‘কণ্ঠ’। আজকের প্রজন্মের কাছে রেডিও প্রায় বিস্মৃত এক স্মৃতি।

View More

তবুও এক ব্যতিক্রম যেন মহালয়া। আশ্বিন মাসের অমাবস্যার ভোরে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে মহিষাসুরমর্দিনী শুনতে রেডিওর সামনে বসে পড়ে বাঙালি। টেলিভিশনের ঝলমলে পর্দাও যে আবেগ দিতে পারে না, সেই আবেগ এখনও ফিরিয়ে আনে রেডিওর একাকী সুর।

advertisement

রেডিও মেরামতকারী মোহিত পাল জানান, ‘এখন আর তেমন কেউ রেডিও শোনে না’। তবে প্রবীণদের কাছে এর আলাদা টান আছে। প্রদীপ দাসের মতে, আজকের প্রজন্ম না শুনলেও, বয়স্কদের জীবনে রেডিও এখনও বিশেষ জায়গা জুড়ে আছে। তাহলে কি সত্যিই শুধু নস্ট্যালজিয়ায় সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে রেডিও? মহালয়ার মতো কয়েকটি বিশেষ মুহূর্তই তাঁকে বাঁচিয়ে রাখবে চিরকাল?

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
নিভিয়ে দেওয়া হয় গোটা গ্রামের আলো! 'জয় মা কালী' ধ্বনিতে মশালের আলোয়...!
আরও দেখুন

প্রযুক্তির দৌড়ে পিছিয়ে গেলেও রেডিও আজও বাঙালির আবেগ, ঐতিহ্য ও স্মৃতির এক অমূল্য অংশ। প্রতিদিন হয়তো আর বাজে না, কিন্তু মহালয়ার ভোরে রেডিওর সুর যেন নিঃশব্দে আমাদের মনে করিয়ে দেয় নিজের অস্তিত্ব।

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
একসময় ছিল ব্যাপক কদর, এখন একদিনের জন্য‌ই বেঁচে থাকা! অস্তিত্বের সংকটে বাঙালির নস্ট্যালজিয়া
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল