শহরের প্রবীণ নাগরিক গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্য সেই দিনগুলির কথা স্মরণ করে বলেন, ‘আমাদের দাদু-ঠাকুরদাদের শৈশব-যৌবনের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে রেডিও। খবর, গল্প, সংগীত থেকে শুরু করে সরাসরি সম্প্রচার- সবই মিলত এক যন্ত্রে। প্রিয় অনুষ্ঠান শোনার জন্য মানুষ সারাদিন অপেক্ষা করত’।
advertisement
এখন অবশ্য সময় বদলেছে। প্রথমে টেলিভিশন, পরে স্মার্টফোনের হাত ধরে বিনোদনের ধরণ বদলে গিয়েছে। রঙিন পর্দা আর মোবাইল অ্যাপের দাপটে ধীরে ধীরে হারিয়ে গিয়েছে রেডিওর ‘কণ্ঠ’। আজকের প্রজন্মের কাছে রেডিও প্রায় বিস্মৃত এক স্মৃতি।
তবুও এক ব্যতিক্রম যেন মহালয়া। আশ্বিন মাসের অমাবস্যার ভোরে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে মহিষাসুরমর্দিনী শুনতে রেডিওর সামনে বসে পড়ে বাঙালি। টেলিভিশনের ঝলমলে পর্দাও যে আবেগ দিতে পারে না, সেই আবেগ এখনও ফিরিয়ে আনে রেডিওর একাকী সুর।
রেডিও মেরামতকারী মোহিত পাল জানান, ‘এখন আর তেমন কেউ রেডিও শোনে না’। তবে প্রবীণদের কাছে এর আলাদা টান আছে। প্রদীপ দাসের মতে, আজকের প্রজন্ম না শুনলেও, বয়স্কদের জীবনে রেডিও এখনও বিশেষ জায়গা জুড়ে আছে। তাহলে কি সত্যিই শুধু নস্ট্যালজিয়ায় সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে রেডিও? মহালয়ার মতো কয়েকটি বিশেষ মুহূর্তই তাঁকে বাঁচিয়ে রাখবে চিরকাল?
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রযুক্তির দৌড়ে পিছিয়ে গেলেও রেডিও আজও বাঙালির আবেগ, ঐতিহ্য ও স্মৃতির এক অমূল্য অংশ। প্রতিদিন হয়তো আর বাজে না, কিন্তু মহালয়ার ভোরে রেডিওর সুর যেন নিঃশব্দে আমাদের মনে করিয়ে দেয় নিজের অস্তিত্ব।