অন্ধ্রপ্রদেশ চাকরি করছিলেন সুমণি রাই। সেখানে এক কলেজের লেকচারার ছিলেন তিনি। কিন্তু পড়াশুনোর টানে সেই চাকরি ছেড়ে নিজের বাড়িতে ২০২৩ সালে চলে আসেন সুমণি। তারপর শুধুই পড়াশুনোর দিকে মন-প্রাণ এক করে দেন সুমণি। তৃতীয় বারের চেষ্টায় এল সাফল্য। এবারে তিনি পিএইচডি করতে চান।
advertisement
সুমণির বিষয় ছিল বায়োলজি। তবে এই জীববিদ্যা বিষয়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তার ভাল লাগে মলিকিউলার সাইন্স। জয়গাঁতে একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনো করেন তিনি। এরপর দ্বাদশ শ্রেণীর পড়াশুনো করেছেন শিলিগুড়ির এক কনভেন্ট স্কুলে।
এরপর কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা করেন অন্ধ্রপ্রদেশে। ২০২১ সালে স্নাতকোত্তর শেষ করে সেখানে এক কলেজে গেস্ট লেকচারার ছিলেন। সিএসআইআর নেট পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তবে তার কথায়, “চাকরি করে এই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হচ্ছিলাম। তাই চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। চলে আসি, জয়গাতে আবার। তিনবারের চেষ্টার পর সাফল্য পেলাম। আমি শুধু জানি নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে। আগামী দিনে যাঁরা এই পরীক্ষা দেবে তাঁদের এই কথাই বলব।”
২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের সিএসআইআর পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয় এদিন। সেখানেই সুমণি দেখেন তার এই দুর্দান্ত ফল। জয়গাঁর মত সীমান্ত এলাকার যুবতীর সারা ভারতে দশম হওয়ার কথা মনে রাখবেন সকলে বলে জানালেন সুমনির মা সুধী রাই। তিনি জানান, “আমার মেয়ে দেখে এই ছোট এলাকার ছেলে মেয়েরা এগিয়ে আসুক। পড়াশুনো করে নিজের অভিভাবকের নাম উজ্জ্বল করুক এটাই চাইব।”
Annanya Dey