জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস জানান, “যক্ষ্মা রোগের অন্যতম কারণ অপুষ্টি। তাদের পুষ্টিকর খাবার দিতে নিক্ষয় মিত্র প্রকল্প রয়েছে। এই মুহূর্তে ১৫৫ জন এই সুবিধা পাচ্ছেন। খুব শীঘ্রই আরও ৫০ জনকে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চিহ্নিত করে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। যক্ষ্মা মুক্ত বাংলা গড়তে বিনামূল্যে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।”
advertisement
আরও পড়ুন: পড়াশুনার পাশাপাশি জাতীয় স্তরে ১১ টি পদক বালুরঘাটের এই স্কুলের
জেলায় যক্ষ্মা রোগী ও এই রোগে মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ কমছে বলে জানানো হয়েছে। ২০২৩ সালে জেলায় ২৪২৩ জন যক্ষা আক্রান্ত হয়েছিলেন। এই বছর প্রায় ২০০ জন রোগী কমেছে। অন্যদিকে, গত বছর ১৫৮ জন যক্ষ্মা রোগীর মৃত্যু হয়েছিল। সেখানে এই বছর তা কমে ১১৬ জন এসেছে। গত দু’বছর আগে ওষুধ খেয়েও যক্ষ্মা কমছে না এমন রোগীর সংখ্যা ছিল ৮১ জন। তা বর্তমানে মাত্র ২৯ জন রয়েছে। অর্থাৎ যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ ধরা পড়া মাত্রই পরীক্ষা করা উচিৎ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনেক দেরিতে এই রোগ ধরা পড়ছে। যার ফলে চিকিৎসায় অনেকটা পিছিয়ে পড়েন রোগীরা।
আরও পড়ুন: নিয়ম মেনে এই ঘাস খেলেই বাড়বে গর্ভধারণ ক্ষমতা! দূর হবে জটিল রোগ! জানুন চিকিৎসকের মত
এদিন জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা জানান, “এক দুজন যক্ষ্মা রোগীর রোগ নির্মূল করে এর থেকে রেহাই পাওয়া যাবে না। তাই পুরো সমাজেই এই মারণ রোগকে দূর করতে ১০০ দিনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় এই রোগের প্রকোপ বেশি। সেখানে বিশেষ নজর দিয়ে সচেতনতা শিবির করা হবে।”
এদিনের ১০০ দিনের এই বিশেষ কর্মসূচিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে যক্ষ্মা রোগের বিভিন্ন লক্ষণ সম্পর্কে তদারকি করবেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। যদি কারো গুরুতর লক্ষণ ধরা পড়ে তাহলে সেখান থেকেই স্পুটাম বা কফ পরীক্ষার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যক্ষ্মা রোগীকে চিহ্নিত করে তাদের চিকিৎসার আওতায় আনা হবে।
সুস্মিতা গোস্বামী





