টিকিট না পাওয়ায় তৃণমূল থেকে পদত্যাগ করেন আখতার ও তাঁর অনুগামীরা। যা নিয়ে উদ্বেগে শাসকগোষ্ঠী। ভোটে যাতে এর প্রভাব না পড়ে সেজন্যে তড়িঘড়ি ফাঁসিদেওয়ায় যান গৌতম দেব, কুন্তল রায়রা। আখতার কিন্তু নিজের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। ফাঁসিদেওয়ার একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রার্থীও দিয়েছেন তিনি। পাল্টা নির্দলদের আক্রমণ তৃণমূল প্রার্থী আইনুল হকের। তাঁর সাফ দাবি, কোনও নির্দল নেই। যারা দল ছেড়েছে, তাদের পাশে মানুষ নেই। নির্দলের তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি তাঁর। আর এলাকায় সন্ত্রাসের কোনো প্রশ্নই নেই বলে দাবি করেন। উল্টে নির্দলরা বাইরে থেকে লোক এনে মিছিল করছে বলে অভিযোগ করেন আইনুল হক।
advertisement
আরও পড়ুন: কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে কবে আসবে বর্ষা? দারুণ সুখবর শোনালো হাওয়া অফিস
মহকুমা পরিষদের আসনে আইনুলের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন আখতার। অন্যদিকে ভোটের আগে তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক পড়েছে! খড়িবাড়ির পানিট্যাঙ্কি ও দুধগেটে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন প্রায় ৩০০ পরিবার। দাবি তৃণমূলের। আজ তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন জেলা সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ ও শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। "মানুষ দিদির উন্নয়নে সামিল হচ্ছে, যারা ভুল করে অন্য দলে যোগ দিয়েছিলেন, আজ তারাও ফিরে আসছে। সব জায়গায় এই ধরনের প্রবণতা বাড়ছে।", দাবি জেলা সভনেত্রীর।
আসন্ন মহকুমা পরিষদের নির্বাচনের ইভিএমের প্রভাব পড়বে। যদিও এই দলবদলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। আজ একাধিক গ্রামে নির্বাচনী প্রচারে যোগ দেন সাংসদ রাজু বিস্তা, বিধায়ক আনন্দময় বর্মন, শঙ্কর ঘীষ, দূর্গা মূর্মূরা। কাল নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ করবে বিজেপি।