মালদহ জেলা সদর শহরের পুজোর কয়েকদিন যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। ইতিমধ্যে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গোটা শহর জুড়ে ড্রপ গেট তৈরি করা প্রতিটি রাস্তার ঢোকার মুখে। পুজোর পাঁচদিন রাস্তায় টোটো চলাচল না করায় অনেকটাই সুবিধা হবে দর্শনার্থীদের। পায়ে হেঁটে নিরাপদে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে প্রতিমা দর্শন করতে পারবেন। মালদহ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিবছর পুজোয় বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
advertisement
এ বছরেও দর্শনার্থীদের ভিড় সামাল দিতে একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে পুজো গাইড ম্যাপ এবং শিশু পরিচয় পত্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। মালদহ শহরের পুলিশ ক্লাব সংলগ্ন বেসরকারি একটি লজের সভা কক্ষে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হয় পুজা গাইড ম্যাপ এবং শিশু পরিচয় পত্রের। উপস্থিত ছিলেন, মালদহ জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব, মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি লিপিকা বর্মন ঘোষ-সহ অন্যানরা।
মালদহ শহরের কোথাও কোন পুজো হয় তা পুজো গাইডে উল্লেখ রয়েছে। এ ছাড়াও কোন রাস্তায় ড্রপ গেট রয়েছে, পার্কিং জোন-সহ সমস্ত কিছুর উল্লেখ রয়েছে। মালদহ জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, পুজোর সময় সুষ্ঠুভাবে সমস্ত কিছু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের ভিড় এড়ানোর জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পুজোর কয়েকদিন যানবাহন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে নজরদারির জন্য।
মালদহ জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর শহরের বিভিন্ন রাস্তায় প্রায় ৬৭টি ড্রপ গেট তৈরি করা হয়েছে। ১৯-২৪ অক্টোবর পর্যন্ত যানবাহন চলাচলের নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বিকেল ৩’টে থেকে রাত ২’টো পর্যন্ত কোনও যানবাহন শহরের রাস্তায় ঢুকতে পারবে না। প্রয়োজনে এই সময় বাড়তে পারে। পুজোর পাঁচদিন মালদহ শহরের রাস্তা একেবারেই টোটো শূন্য থাকবে। সাধারণ মানুষের পক্ষে চলাচলে অনেকটাই সুবিধা হবে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্যই এমনটা করা হয়েছে।
শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল এলাকা গুলিতে নজরদারি চালানোর জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পুজোর সময় এস এস সি টিভি ক্যামেরায় নজরদারি চালানো হবে। অতিরিক্ত পুলিশকর্মী নিয়ে আসা হয়েছে পুজোর ভিড় সামাল দিতে।
হরষিত সিংহ