আরও পড়ুন : কোভিডিধি মেনে ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’-এর মহড়া শিলিগুড়ির খড়িবাড়িতে, বইখাতা নিয়ে হাজির কচিকাঁচার দল
বেশ কিছুদিন ধরেই মালদা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে টোটো ও ই-রিকশ চুরির অভিযোগ আসছিল। গত এক মাসের মধ্যেই অন্তত ১৫ টি টোটো ও ই-রিকশ চুরির ঘটনায় অভিযোগ জমা পড়ে ইংরেজবাজার থানায়। এরপর এই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তের সূত্র ধরে ইংরেজবাজার , ভূতনি ও মোথাবাড়ি থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে মোহন চৌধুরী , পিন্টু চৌধুরী এবং উৎপল কর্মকার চক্রের পান্ডা বলে প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, এই চক্রের সঙ্গে বিভিন্ন লেদ কারখানার কিছু কর্মীও যুক্ত রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন : ভয়াবহ দুর্ঘটনার চার বছর পর আজও সেই সেতু দেখলে শিউরে ওঠেন সকলে
অভিযোগ, মালদা শহর থেকে চুরি হওয়া বিভিন্ন টোটো ভূতনি নিয়ে গিয়ে নম্বর খুলে ফেলে, নতুন রং করে দেওয়া হত। এভাবেই ভোলবদল করা হচ্ছিল পুরনো টোটোর। শেষে, সেইসব চোরাই টোটো প্রতিটি ৪৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত দামে গ্রামীণ এলাকায় বিক্রি করা হচ্ছিল। এদিন ধৃতদের মালদা জেলা আদালতে তুলে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন জনকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বাকি তিন জনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : বিয়ের পর পরই দুটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ার ‘অপরাধে’ গৃহবধূর যৌনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে অত্যাচার
এই চক্রের পাণ্ডাদের জেরা করে টোটো ও ই-রিকশ চোরাই চক্রের আরও দুষ্কৃতীদের খোঁজ মিলতে পারে বলে আশাবাদী পুলিশের তদন্তকারীরা। সম্প্রতি মালদা শহরে বেআইনি টোটো বিরোধী অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। কিন্তু, অভিযোগ, গ্রামীণ এলাকায় এখনও সে ভাবে টোটোর ওপর নজরদারি নেই। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মালদহের গ্রামাঞ্চলে এমন চক্রের হাত ধরে চোরাই টোটোর রমরমা বাড়ছে বলে এই চক্র গ্রেপ্তারের পর ইঙ্গিত মিলেছে।