কোচবিহারের শোলাডাঙা এমনই এক নদী ভাঙন কবলিত এলাকা। দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে এই এলাকায় নদী ভাঙন চলছেই। আগ্রাসী তোর্ষার গ্রাসে চলে গিয়েছে এখানকার বিঘের পর বিঘে চাষের জমি। বর্তমানে নদীর চোখ রাঙানিতে ঘুম উড়েছে নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের। আবাদি জমির পর এবার বসত বাড়ি নদীর গ্রাসে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কায় ভুগছেন তাঁরা।
advertisement
আরও পড়ুন: ভাল স্বাস্থ্য পরিষেবা দিলেই সুন্দরবনে মিলছে পুরস্কার
এলাকার এক প্রবীণ বাসিন্দা হিতাংশু দেবনাথ জানান, এক বছরের বেশি সময় ধরে চলতে থাকা এই নদী ভাঙনে বহু আবাদি জমি হারিয়েছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত তাঁর প্রায় ১৫ থেকে ১৬ বিঘা চাষের জমি চলে গিয়েছে নদী গর্ভে। এখন বাকি রয়েছে আর মাত্র এক বিঘা জমি। এটুকুই শেষ সম্বল। কিন্তু এই প্রবীণ বাসিন্দার আশঙ্কা, বাকি কৃষিজমির পাশাপাশি এবার তোর্ষার ভাঙনে তাঁর বসত বাড়িটাও খোয়াতে পারেন। সেক্ষেত্রে আগামী দিনে কোথায় থাকবেন, কী খাবেন তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে জানান তিনি। এই পরিস্থিতিতে এলাকাবাসীদের দাবি, দ্রুত নদীর পাড়ে বাঁধ দেওয়া হোক।
তবে এই গোটা বিষয়টা নিয়ে জেলা প্রশাসনের কর্তারা কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। ফলে বিপন্ন মানুষগুলি চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
সার্থক পণ্ডিত