TRENDING:

বিশ্বের বাজারে ভারতীয় চায়ের প্রসারে নয়া স্লোগান, দেশকে চা-মুখী করতে অতিরিক্ত উদ্যোগ

Last Updated:

বিশ্ব বাজারে রফতানি প্রায় অর্ধেক কমেছে দার্জিলিং চায়ের, উদ্বিগ্ন চা বণিক মহল! 

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#শিলিগুড়ি: বিশ্ব বাজারে ভারতীয় চায়ের প্রসারে উদ্যোগী সি আই আই। তারই অঙ্গ হিসেবে আগামী ১১ ও ১২ জানুয়ারি ২ দিনের "ইণ্ডিয়া টি ফোরামের" আয়োজন শিলিগুড়িতে।
advertisement

নতুন প্রজন্ম মুখ ফেরাচ্ছে চায়ের কাপ থেকে। অথচ চা হল স্বাস্থ্যজনক পানীয়। কেবল মধ্য বয়সী ও প্রাপ্য বয়স্করা চা পান করেন ভারতে। অন্য দেশের তুলনায় মাথাপিছু চা পানের বার্ষিক হিসেবেও অনেক পিছিয়ে ভারত। এমনকী শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের চেয়েও। ভারতে বার্ষিক মাথাপিছু চা পানের গড় হিসেব ৮০০ গ্রাম। আর তাই এর বড় প্রভাব পড়ছে চা শিল্পে। টার্গেট অন্তত ১ কেজি মাথাপিছু চা পানের সংখ্যা বাড়ানো। এবং এই লক্ষ্যে পৌঁছতে ৪ থেকে ৫ বছরের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে সিআইআই। তাই এবারে তারা আনছে নতুন ট্যাগ লাইন। কি সেই ট্যাগ লাইন? "ওয়ান মোর কাপ, এক ওউর পিয়ালি.....হো জায়ে!'

advertisement

দেশজুড়ে এই স্লোগানকে সামনে রেখে চায়ের প্রতি ভালবাসা বাড়াতে উদ্যোগী তারা। লক্ষ্য চা পায়ীদের সংখ্যা বাড়ানো। লক্ষ্যে পৌঁছতে গেলে চায়ের গুণগত মানও বাড়াতে হবে। সেদিকেও নজর দিয়েছে তারা। সিআইআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান তথা চা শিল্পপতি রবি আগরওয়াল বলেন, চায়ের প্রতি নতুন প্রজন্মকে ঝোঁকাতে হবে। মাথাপিছু চা পানের পরিমাণ বাড়লেই ভারতীয় চা শীর্ষে পৌঁছতে পারবে। কেননা চা উৎপাদনে ভারত দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষেরা যদি চা পান না করেন, তাহলে এই শিল্প বড় ক্ষতির মুখে পড়বে।

advertisement

আরও পড়ুন: তৃণমূলের অভিযোগেই আবাস যোজনার তদন্ত? মালদহে বিস্ফোরক দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

আরও পড়ুন: 'টিআরপি চলে গিয়েছিল, একের পর এক ছবি ফ্লপ করেছিলেন,' মিঠুনকে বেনজির আক্রমণ কুণালের

আর এক চা শিল্পপতি সতীশ মিত্রুকা বলেন, এজন্যে চা শিল্পে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হয়েছে। অনলাইনে চা বিক্রির পথেও হাঁটার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দার্জিলিং চায়ের বিশ্ববাজারে রফতানির পরিমাণও কমে এসছে। উৎপাদনও কমেছে। দার্জিলিংয়ে এখন ৬.৫ মিলিয়ন কেজি চা বার্ষিক উৎপাদন হয়। তার মধ্যে রফতানি হচ্ছে ৩ মিলিয়ন কেজি। বছর কয়েক আগেও পরিমাণ ছিল ৫ মিলিয়ন কেজি। কেন কমছে? মূলত কোভিডের সময়ে লকডাউনের জেরে উৎপাদন ধাক্কা খায় দার্জিলিং চা। সেই সুযোগে ভারত সহ বিশ্বের বাজার ধরে ফেলে নেপাল টি। দাম কম। অনেকটা দার্জিলিং চায়ের মতোই দেখতে। কিন্তু গুনগত মান অনেকই কম। এটা বন্ধ করতে হবে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুজো শেষ হতেই ঝাঁকে ঝাঁকে পদ্মার ইলিশ! জলের দরে টাটকা মাছ না খেলেই নয়
আরও দেখুন

সি আই আইয়ের চেয়ারম্যান প্রদীপ পুরোহিত বলেন, এবারের দু'দিনের এই টি ফোরামে দার্জিলিং চা নিয়ে আলাদা আলোচনা করা হবে। দার্জিলিংয়ের চায়ের বিশ্বজোড়া খ্যাতি। তা ফেরাতেই সকলের মতামত গুরুত্ব পাবে ওই আলোচনায়। তিনি এও জানান, দু'দিনের ফোরামে অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরাও থাকবেন। যোগ দেবেন বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনারও।

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
বিশ্বের বাজারে ভারতীয় চায়ের প্রসারে নয়া স্লোগান, দেশকে চা-মুখী করতে অতিরিক্ত উদ্যোগ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল