আরও পড়ুন: চিনা আলোর বিরুদ্ধে লড়ছেন অনির্বাণ! তাঁর কাণ্ড জানলে থ হয়ে যাবেন
মালদহের উত্তর লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা সরফরাজ আহমেদ। পেশায় তিনি আইনজীবী। বহু দিনের স্বপ্ন ছিল বাড়ির মধ্যেই থাকবে আস্ত একটি পার্ক। নানা প্রজাতির গাছ থাকবে সেখানে। গাছে গাছে ঘুরে বেড়াবে রকমারি পাখি। পাখিদের কলতানে ভরে উঠবে পার্ক চত্বর। তাঁদের মাঝে বসে নিশ্চিন্তে সময় কাটাবেন। সেই স্বপ্নই পূরণ করলেন সারফারাজ আহমেদ ওরফে রাজ। গ্রামের বাড়ির উঠোনে সবুজে ঢাকা ছোট একটা বাগান তৈরি করেছেন। এই প্রসঙ্গে সরফরাজ আহমেদ বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল বাড়িতে পার্ক তৈরি করার। অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে ধীরে ধীরে তৈরি করেছি। ফাঁকা জায়গা থাকলে যে কেউ এই ধরনের পার্ক তৈরি করতে পারবেন।
advertisement
শহর থেকে গ্রাম সমস্ত জায়গায় এখন কংক্রিটের বাড়ি তৈরি হচ্ছে। খোলামেলা জায়গার বড় অভাব। তাই অবসর সময় বাড়ির ফাঁকা জায়গায় আপনিই ফিরিয়ে আনতে পারেন এক টুকরো সবুজ। সরফরাজ কলকাতা থেকে মেক্সিকান ঘাস নিয়ে আসেন। গোটা পার্কে রয়েছে সেই ঘাস। খানিকটা পাহাড়ি পার্কের আদলে গড়া হয়েছে পার্কটি। মাত্র দেড় কাঠা জমিতে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে পার্কটি গড়া হয়েছে। দোলনা, সাউন্ড সিস্টেম রাখা আছে। সরফরাজ আহমেদ বলেন, কলকাতা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ নিয়ে এসেছি। এছাড়াও দেশি ফল-ফুলের গাছ রয়েছে। প্রায় ৪২ প্রজাতির গাছ রয়েছে এখানে। এখন পর্যন্ত প্রায় তিন লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। ১১ মাস সময়ে পার্ক তৈরি হয়েছে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন:
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে একটু প্রকৃতির মধ্যে কাটানোর উদ্দেশ্য নিয়ে পার্কটি নির্মাণ করা। ঝুলন্ত গাছ রয়েছে। সবমিলিয়ে বাড়ির সামান্য ফাঁকা জায়গাতেই মনোরম পরিবেশ তৈরি করেছেন তিনি। তাঁর এমন পদক্ষেপ থেকে অনেকেই ভাবাচ্ছে। পেশায় আইনজীবী সারফারাজ আহমেদ বলেন, যে কেউ এই ধরনের পার্ক বাড়িতে তৈরি করতে পারবেন। শুধুমাত্র অবসর সময়কে কাজে লাগাতে হবে। তাতে আপনার বাড়ির পরিবেশ হয়ে উঠবে মনোরম, থাকবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
হরষিত সিংহ