সেই দোকানে বসে আছেন রবি কংস বনিক। হাতে একটি পুরনো কাঁসার বাটি, সেটির গায়ে জমে থাকা সময়ের দাগ, কালো ছোপ, আঁচ ধুয়ে মুছে নতুন করে জীবন ফিরিয়ে আনছেন তিনি। এই কাজ কেবল রোজগার নয়—এ রবি ও তার পরিবারের পরিচয়। প্রায় ৯০ বছর আগে ঠাকুরদা শুরু করেছিলেন এই দোকান।
advertisement
তারপর বাবার হাত ধরে এসেছে রবি, আর এখন তার ছোট ছেলেও হাতে তুলে নিচ্ছে কাঁসার জগৎ। একসময় এই দোকানে ২৫০ জন কর্মচারী কাজ করতেন। বিয়েবাড়ি, পুজো, শ্রাদ্ধ — কাঁসার বাসন ছিল অবিচ্ছেদ্য অংশ। আজ সেই কদর ফিকে। স্টিল, মেলামাইন আর প্লাস্টিকের দাপটে দোকানে কর্মচারী বলতে এখন রয়েছে মাত্র ১ জন।
তবু রবি হাল ছাড়েননি। টিকে রয়েছে এভাবেই। অনেকে ভাবে কাঁসা ফেলে দেবে, কিন্তু আমরাই তাকে নতুন জীবন দিই। এটাতেই শান্তি পাই, বলেন তিনি। আজও কিছু মানুষ আছেন, যারা ঠাকুমার পুরনো থালা বা বাবার পিতলের ঘটটি যত্ন করে এনে দেন রবির হাতে। তাদের স্মৃতির ভাঁজে গাঁথা ঐতিহ্য নতুন করে ঝকঝক করে ওঠে তার কারিগরিতে। রবির মতো মানুষের হাত ধরে আজও টিকে আছে এক হারাতে বসা শিল্প।
সুরজিৎ দে





