গ্রামের যেকোনও কোণে বসেই যখন তিনি গলা ছেড়ে গান ধরেন, তখন তার ভাটিয়ালি সুরে মুগ্ধ হয় সাধারণ মানুষ। তবু জীবন তো সহজ নয়! চলার পথে দিতে হয় পদে পদে পরীক্ষা। তেমনই চন্দনের সংসার চলে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে ও গান গেয়ে পাওয়া সামান্য উপার্জনে। সেই টাকায় চলে বাচ্চার পড়াশোনা থেকে শুরু করে সংসারের খরচ।
advertisement
অথচ, নিজের মাথা গোঁজার মতো একটা পাকা ঘরও নেই তার। ঝড়-বৃষ্টিতে টিনের ছাউনির নিচে থাকতে চরম কষ্ট হয়। সরকার থেকে যদি একটা পাকা ঘর পাওয়া যেত, তা হলে অন্তত বর্ষার দিনে একটু শান্তিতে থাকা যেত—এটাই তার একমাত্র চাওয়া।
আরও পড়ুন-দাদা রাজ কাপুরের সঙ্গে গদগদ প্রেম, লোকলজ্জা ভুলে ভাইকে ‘চুমু’ খেতে চাইলেন নার্গিস, তারপর যা হল…
চন্দনের এই লড়াই শুধুই বেঁচে থাকার নয়, বরং গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী সুরকে ধরে রাখারও। চায়ের দোকান হোক কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠান, তার সুরের টান ছুঁয়ে যায় সকলের মন। কিন্তু তার সঙ্গীতের এই অবদান কি সরকারি সাহায্যের পথে কোনও দরজা খুলতে পারবে? এখন অপেক্ষা শুধুই সময়ের।
সুরজিৎ দে





