বর্তমানের ভেটাগুড়ির জিলিপির দোকানের কর্ণধার অসীত নন্দী জানান,”একটা সময় রাসমেলায় তাঁর দাদু বিধুভূষণ নন্দী জিলিপির দোকানের সূচনা করেছিলেন। তারপর তাঁর বাবা এই দোকান করতেন। বর্তমান সময়ে তিনি এবং তাঁর কাকা এই দোকান করছেন। দীর্ঘ সময় ধরে এই জিলিপির বিশেষত্ব এই জিলিপির মিশ্রণ তৈরির মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে। সঠিক পরিমাপ এবং মিশ্রণ তৈরি করার মাধ্যমে সুস্বাদু হয়ে ওঠে জিলিপি। বর্তমানে এই জিলিপি প্রায় চারদিন পর্যন্ত রেখে খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া এই জিলিপির চাল সঠিক বেছে নেওয়াই হচ্ছে আসল কৌশল।”
advertisement
রাস মেলায় ভেটাগুরির জিলিপি খেতে আসা এক বৃদ্ধা মহিলা আরতি রায় জানান,”দীর্ঘ সময় ধরে তিনি এই ভেটাগুড়ির জিলিপি খেতে দারুণ পছন্দ করেন। তাইতো প্রতিবছর তিনি রাস মেলায় ঘুরতে এসে এই জিলিপি খেয়ে থাকেন। বর্তমান সময়ে তিনি তাঁর নাতি-নাতনিকে নিয়ে আসেন জিলিপি খেতে।” জিলিপির দোকানের আরেক গ্রাহক ভবেশ্বর রায় জানান,”এই জিলিপির দাম বর্তমানে কিছুটা বেড়েছে। তবে জিলিপির স্বাদ ও মান এখনোও একই রয়েছে। তাইতো প্রতিবছর এই জিলিপি খেতে আসেন তিনি। আগামীতেও অবশ্যই আসবেন এই জিলিপি খেতে।”
আরও পড়ুনঃ Jalpaiguri News: অলিগলিতে নিরাপত্তা দিতে পুলিশের অভিনব উদ্যোগ! খুশি শহরবাসী
দীর্ঘ সময় ধরে কোচবিহার রাস মেলায় দূর-দূরান্তের বহু মানুষ ঘুরতে আসেন। সকলের কাছে রাসমেলা যেমনি জনপ্রিয় নিজের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের জন্য। তেমনি রাস মেলায় আসা ভেটাগুড়ির জিলিপি সমান জনপ্রিয় সকলের কাছে। বর্তমানের মূল্য বৃদ্ধির বাজারে দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে এই জিলিপির। তবে আজও ৮ থেকে ৮০ সকলের কাছে নিজের জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে কোচবিহারের ভেটাগুড়ির প্রসিদ্ধ জিলিপি।
Sarthak Pandit