দুই পেপার পিন হুইল বিক্রেতা মুন্না রাজওয়ার এবং ছোট রাজওয়ার জানান,”এই খেলাগুলি ছোট থেকে বড় সকলের পছন্দ। সামান্য হাওয়াতে সুন্দর ঘুরতে থাকে এটি। তাইতো দূর থেকে রং বেরঙের এই খেলনাগুলিকে দেখতে সত্যিই দারুণ লাগে। দীর্ঘ সময় ধরে তাঁরা এই খেলনাগুলি বিক্রি করতে জেলা কোচবিহারে এসে থাকেন। প্রতিবছর বহু মানুষ এই খেলনাগুলি কিনে নিজেদের শৈশবের দিনগুলি ফিরে পেতে চেষ্টা করেন। ছোটরাও দারুণ উৎসাহের সঙ্গে এগুলি কিনে থাকেন। মাত্র কুড়ি টাকা দামে এই বিশেষ খেলনা কমবেশি সকলের পছন্দ হয়। তাইতো বিক্রি করে মুনাফা হয় অনেকটাই।”
advertisement
পেপার পিনহুইল নির্মাতা গোবিন্দ রাজওয়ার জানান,”দীর্ঘ ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই কাজ করছেন তিনি। প্রতিবছর পুজোর আগে কোচবিহারে আসেন এই জিনিস বিক্রি করতে। একেবারেই স্বল্পমূল্যের উপকরণ দিয়ে এই খেলনা তৈরি করা সম্ভব। আধুনিক যুগে যে সময়ে বাচ্চা থেকে বড়রা মোবাইল কিংবা কম্পিউটারে আসক্ত। সেই পরিস্থিতিতে এই খেলনা মুহূর্তে যেকোন মানুষকে শৈশবের দিনে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারে। তাইতো ও রাস্তায় এই খেলাগুলি দেখলেই বহু মানুষ এগিয়ে এসে কিনে থাকেন। দাম একেবারে সামান্য হওয়ার কারণে খুব একটা অসুবিধায় পড়তে হয় না কোন মানুষকে।”
একটা সময় ছিল যখন কম্পিউটার কিংবা মোবাইলে আসক্তি ছিল না বাচ্চাদের। এই ধরনের খেলাগুলিতেই মন আকর্ষণ হতো বেশিরভাগ ছোটদের। তবে ধীরে ধীরে সেই সময় বদলেছে। তাইতো কিছুটা হলেও বাচ্চাদের খেলনা সামগ্রী থেকে ধীরে ধীরে বিদায় নিয়েছে এই পেপার পিনহুইল।
Sarthak Pandit





