পুতুল নির্মাণ শিল্পী নিশারাণী রায় জানান, “তাঁর মেয়ে যখন স্কুলে পড়ত, তখন মেয়ের স্কুলের হাতের কাজের জন্য পুতুল বানিয়ে দেওয়া থেকে সূত্রপাত তাঁর এই কাজের। তারপর থেকে তিনি একের পর এক পুতুল বানিয়ে বহু মানুষের নজর আকর্ষণ করেছেন। তবে এটা কিন্তু তিনি পেশা হিসেবে বেছে নেননি। তিনি এই কাজ করে থাকেন মূলত নেশা থেকেই। সংসারের যাবতীয় কাজ সামলে পুতুল তৈরির নেশা থেকেই এই কাজ করেন তিনি। এক একটি পুতুল তৈরি করতে বেশ কিছুটা সময় লাগে। তবে সেই ধৈর্য নিয়ে তিনি কাজ করে থাকেন প্রতিদিন।”
advertisement
আরও পড়ুন: বড়দিনের আগেই রাস্তায় এ কী করছে সান্তা ক্লজ! অবাক স্থানীয়রা
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তিনি আরও জানান, “আগামী দিনে যতদিন তিনি কাজ করতে পারবেন। ততদিন তিনি এইভাবেই পুতুল তৈরি করতে থাকেন। তিনি এই কাজ লাভের জন্য করেন না, করেন ভালবাসা থেকে।” পুতুল নির্মাণ শিল্পীর স্বামী উপেন্দ্রনাথ রায় জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে তিনি তাঁর স্ত্রীর এই কাজে সহায়তা করে থাকেন। তাঁর স্ত্রী এই বয়সে এসে সংসারের কাজ সামলে যেভাবে এই কাজ করে থাকেন। সেই বিষয়টি বেশ অনেকটাই প্রশংসার যোগ্য। আগামী দিনেও তিনি তাঁর স্ত্রীর সাহায্যে নিজেকে এগিয়ে দেবেন। এছাড়া তাঁর স্ত্রী এই বিষয়টি তাঁদের ছেলে মেয়েদেরও অনেকটাই পছন্দ হয়।”
আরও পড়ুন: একটা দিন পরেই বড়দিন! এবার কী কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা? জানলে অবাক হবেন
দীর্ঘ সময় ধরে কোচবিহারের বুকে এই মহিলা শিল্পীর ধীরে ধীরে প্রসিদ্ধ হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে বহু মানুষ তাঁকে চেনেন। অনেকেই তাঁকে যোগাযোগ করেন পুতুল বানিয়ে দেওয়ার জন্য। তবে এই পুতুল নির্মাণের জন্য তিনি একেবারেই সামান্য পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন। মূলত পুতুলের কাপড়ের দামের জন্য। তাঁর তৈরি পুতুল দীর্ঘ সময় ধরে বহু বাড়ির ঘরের শোভা বাড়াচ্ছে আজও।
Sarthak Pandit





