শহরের পুরসভা ভবনের সামনে রাত ৩ টে থেকেই ভিড় জমছে। পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের মৃত্যু শংসাপত্রই এখন যেন ‘ব্রহ্মাস্ত্র’—যার ভিত্তিতে টিকে থাকবে ভোটারের পরিচয়। জলপাইগুড়ি পুরসভার জন্ম-মৃত্যু শংসাপত্র বিভাগের সামনে এখন প্রবল চাপ। বহু বছরের পুরনো রেজিস্টার ঘেঁটে নথি বের করতে হাঁসফাঁস কর্মীদের। সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত কাজ হলেও লাইনের শেষ দেখা নেই। লাইন নিয়ন্ত্রণে ভোটাররাই সাদা কাগজে সবার নাম লিখে রাখছেন—কেউ আগে, কেউ পরে। পরিস্থিতি এমন যে কর্মীদের সঙ্গে সঙ্গে নথি খুঁজতে হাত লাগাতে বাধ্য হচ্ছেন শংসাপত্র সংগ্রহ করতে আসা মানুষজনও। একটা দরজার পাল্লা খুলে অতিরিক্ত জায়গা করে চালাতে হচ্ছে কাজ।
advertisement
আরও পড়ুন: সবজি বিক্রেতা মায়ের কাছে ১৩ লক্ষ টাকা দাবি! না দেওয়ায় মাথা ফাটাল গুণধর ছেলে
জলপাইগুড়ি পুরসভার জন্ম-মৃত্যু বিভাগে কর্মরত এক কর্মকর্তা জানান, “প্রতিদিন আসছেন অগুন্তী সাধারণ মানুষ। পুরনো রেজিস্টার খুঁজে নথি বের করতে প্রচুর সময় লাগে। টিফিনের সময়ও পাচ্ছি না। মানুষ রাত জেগে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন—জানতে অবাক লাগছে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মৃত্যু শংসাপত্র সংগ্রহে আধার কার্ড-সহ যেকোনও পরিচয় নথি প্রয়োজন হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুরসভা। তবে সবচেয়ে বড় কারণ, ২০২২ সাল থেকে অনলাইনে শংসাপত্র মিললেও, তার আগের বছরের নথি পুরনো রেজিস্টার থেকেই তুলতে হয়। আর সেখানেই তৈরি হয়েছে এই চাপ। এসআইআর প্রক্রিয়ার জটিলতা নিয়ে অনিশ্চয়তা এখন সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক হিসেবে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই উদ্বেগের ভার এসে পড়েছে পুরসভার দরজায়, যেখানে পরিচয়ের প্রমাণ এখন কাগজের পাতায় বাঁধা স্মৃতির মতো!





