শাল বাগান জঙ্গল থিয়েটার ফেস্টিভ্যালের আয়োজক নাট্য দলের সম্পাদক সুমন্ত সাহা জানান, “মূলত সবুজ অরণ্যকে বাঁচাতে সবার আরও বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন। এই নাট্য উৎসব এবার পঞ্চমবর্ষে পদার্পণ করেছে বলে জানান তিনি। এই অনুষ্ঠানে আসা প্রত্যেকেরই হাতে একটি করে চারাগাছ তুলে দেওয়া হচ্ছে। নাটক চলাকালীন শাল বাগানের ভেতরে আরও বেশ কিছু চারা গাছ রোপণ করা হয়েছে। এছাড়া নাটকের পাশাপশি বেশকিছু পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি করার কাজের আয়োজন করা হয়েছে। যদিও এই নাটকের সঙ্গে পরিবেশ প্রকৃতির যোগ রয়েছে অনেকটাই। তাই সকলের সামনে তা তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।”
advertisement
আরও পড়ুন: এক রাতের রাজা হতে চান? তাহলে সঙ্গীকে নিয়ে কলকাতার কাছেই এই বাড়ি থেকে ঘুরে আসুন
এই নাট্য উৎসবে নাটক করতে আসা এক নাট্যকর্মী সৌরভ গোপ জানান, “সংক্ষেপে বলা যায় এই শাল বাগান কোচবিহারের অন্যতম ফুসফুস। তাই এই শাল বাগানকে রক্ষা করা অত্যন্ত প্রয়োজন। এছাড়া প্রকৃতির মাঝে আয়োজন করা এই নাটকের অনুষ্ঠান বহু দর্শককে আকর্ষণ করছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বহু দর্শক আসছেন এখানে।” নাটক দেখতে আসা এক সমাজসেবী ব্যক্তি সুমন দাস জানান, “এবারের অনুষ্ঠানে জেলার পাশাপশি রাজ্যের ও বাইরের বহু নাট্য দল এসেছে। নাটকের ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার পাশাপশি পরিবেশ রক্ষার বার্তাকে সকলের সামনে সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন আয়োজকরা।”
বর্তমান সময়ে জঙ্গল থিয়েটার ফেস্টিভাল এক অনন্য মাত্র যোগ জেলার নাট্য চর্চার মধ্যে। এই ফেস্টিভালের মাধ্যমে সকলের কাছে পরিবেশ রক্ষার বার্তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আগামীদিনে এই ধরনের কাজ আরোও বহু নাট্য দল করবে এটাই প্রত্যাশা জেলার বেশিরভাগ মানুষের।
Sarthak Pandit





