কোচবিহারের কালীঘাট এলাকা ঘেঁষে বয়ে গিয়েছে তোর্সা নদী। আর এই এলাকার নদীর বাঁধের একেবারে ধার ঘেঁষে তৈরি করা হয়েছে এই রেস্তোরাঁ। যেখানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যে কোনও মানুষকে সহজেই আকর্ষণ করছে অনেকটাই।
রেস্তোরাঁর মালিক দীপক দত্ত জানান, দীর্ঘ সময় ধরে এই এলাকায় বহু মানুষের আনাগোনা হয়ে থাকত। মূলত নদীর ধারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানেই মানুষের ভিড় জমত এখানে। তবে সেই সৌন্দর্যের সঙ্গে যদি খাওয়াদাওয়ার পর্ব যুক্ত করা যায়, সেই কথা ভেবেই এই রেস্তোরাঁ শুরু করেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন- ২০২৬-এ বোল্ড আউট করে দেবে সৌরভ? মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া ‘গুগলির’ জবাব দিলেন দাদা
বর্তমানে এই রেস্তোঁরা অনেকটাই পছন্দ করছেন বহু মানুষ। শীতের দিনের এই জায়গায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেন আরোও অনেকটাই বেড়ে ওঠে। রকমারি খাবারের স্বাদ নিতে পারবেন। সঙ্গে থাকছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। শীতের মরসুমে নিজের পছন্দের মানুষ কিংবা পরিবারের মানুষদের নিয়ে ঘুরতে আসলে মন ভরে উঠবে।
রেস্তোরাঁর কর্মী রাবিউল ইসলাম জানান, “এই জায়গায় এসে বহু পর্যটক থেকে শহরের মানুষেরাও মুগ্ধ হয়ে ওঠেন। বর্তমানে এই জায়গায় ভারতীয় খাবার এবং চাইনিজ খাবারের মধ্যে বেশকিছু দারুণ সুস্বাদু খাবার পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও রয়েছে তন্দুরের বেশকিছু লোভনীয় খাবার। এছাড়া এই রেস্তরাঁয় বর্তমান সময়ে ছাত্রদের জন্য ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হচ্ছে খাবার দামের ওপর। এছাড়া এখানের খাবারের দাম শুরু করা হয়েছে মাত্র ২০ টাকা থেকে। যা সকলেই খেতে পারবেন। যদি কেউ চান হাতে চায়ের কাপ কিংবা কফি নিয়ে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করবেন, সেটাও সম্ভব।”
আসন্ন ২৫ ডিসেম্বর ক্রিসমাস উপলক্ষ্যে বেশকিছু আকর্ষণ যুক্ত হতে চলেছে এই রেস্তোরাঁয়। এছাড়া দূরের পর্যটকরাও এই রেস্তোরাঁয় এসে এখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সহজেই মুগ্ধ হয়ে উঠবেন এটুকু নিশ্চিত। শীতের শুঁকনো নদীর সৌন্দর্য সঙ্গে রয়েছে পরিযায়ী পাখিদের ঝাঁক সব মিলিয়ে এক অদ্ভুত মায়াবী পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে এই জায়গা। তাইতো সেই টানেই দূর-দূরান্তের বহু মানুষ ছুটে আসছেন এই রেস্তোরাঁর মধ্যে।
Sarthak Pandit