বর্তমান শোলা শিল্পী ধীরেন্দ্র নাথ মালাকার জানান, “রাজ আমলের তাঁর ঠাকুরদা এই কাজ শুরু করেন। তারপর তাঁর বাবা এই কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি এই কাজ করছেন। রাজ আমল থেকে এই প্রথা চলে আসছে। বংশ পরম্পরায় মন্ডুষ তৈরি করে আসছেন তাঁরা। এই মন্ডুষটিতে চাঁদ সওদাগরের কাহিনী, বেহুলা-লখীন্দরের কাহিনী-সহ বিভিন্ন দেব-দেবতাদের ছবি তুলে ধরা হয়। আনুমানিক ১৫ থেকে ১৬ দিনের মতন সময় লাগে এই মন্ডুষ সম্পূর্ণ তৈরি করতে। এতে ব্যবহার করা হয় শোলা, সাদা কাগজ, আঠা ও রঙ।”
advertisement
আরও পড়ুন – Weight Gain Over Night: রাতারাতি ওজন বেড়ে যেতে পারে? ভিনেশের সঙ্গে কী হয়েছিল, বুঝিয়ে দিলেন কুস্তি কোচ
তিনি আরও জানান, “বর্তমানে ভাল মানের শোলা কোচবিহারে আর পাওয়া যায় না। তাইতো বাইরে থেকে আনাতে হয় এই শোলা। এতে খরচ পড়ে অনেকটাই বেশি। তবে রাজ আমলের ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে ভাল মানের জিনিস দিয়েই করা হয় এই কাজ। তাঁর বয়স এখন ৬৫ বছর। তাই অনেকটাই অসুবিধা হয় এই কাজ করতে। তাই তাঁর এই কাজে তাঁর পরিবার তাঁকে যথেষ্ট সাহায্য করে। এরপর তাঁর পরর্বতী সময়ে তাঁর ছেলেকে তিনি এই কাজের দায়িত্ব দেবেন। তাই সেজন্য তাঁকে শেখাচ্ছেন ও তিনি। তবে সে এখনোও দক্ষ হয়ে ওঠেনি সম্পূর্ণ।”
দীর্ঘ সময়ের প্রথা মেনে আজও এই কাজ করেন এই শিল্পীর পরিবার উৎসাহের সঙ্গে। আগামী দিনেও এই কাজ তাঁরাই করবেন এমনটাই জানিয়েছেন তাঁরা। কারণ, রাজ ঐতিহ্যের সঙ্গে বর্তমানে একপ্রকার জড়িয়ে পড়েছেন এই শিল্পী ও4 তাঁর পরিবার। তবে এই মনসা পুজোর মন্ডুষ বহু মানুষের নজর আকর্ষণ করে এটুকু নিশ্চিত। এর সৌন্দর্য বহু মানুষের মধ্যে কৌতুহল জাগিয়ে তোলে।
Sarthak Pandit





