এদিন ভয়াবহ ভাঙনের ফলে তলিয়ে যায় বহু প্রাচীন বটগাছ ও তার পাশে থাকা একটি ছোট শিব মন্দির। পাশাপাশি মুহূর্তের মধ্যে তলিয়ে যায় প্রায় দশটি বাড়ি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভাঙন রোধে বাঁধের উপর কাজ হলেও খুব নিম্নমানের কাজ করা হচ্ছে। এভাবে ভাঙন রোধ করা সম্ভব নয়।
advertisement
এক গ্রামবাসী শঙ্কর তিওয়ারি জানান, আচমকাই এদিন ভোরবেলা থেকে ভাঙন শুরু হয়। ভাঙনে বাড়ির আসবাবপত্র বের করার সময়টুকু পাননি। বর্তমানে অস্থায়ী ত্রিপলের নিচে কষ্ট করে থাকতে হচ্ছে। স্থানীয় এক নেতা দেবজ্যোতি সিনহা জানান, ‘নতুনভাবে আবার ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে বহু প্রাচীন বটগাছ তলিয়ে গিয়েছে। বাঁধ ভেঙে ভুতনির দুই দিকে থাকা গঙ্গা আর ফুলহার নদীর দূরত্ব হ্রাস হচ্ছে। গোটা ভুতনির অবস্থা খুবই সঙ্কটজনক’।
আরও পড়ুনঃ হাড়োয়ার তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে ফের পোস্টার বিতর্ক! দুর্নীতির অভিযোগে বিদ্ধ রবিউল ইসলাম
এদিকে বিষয়টি নিয়ে সেচ দফতরের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ভাঙন রোধের কাজের আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। তিনি জানান, ‘গঙ্গার জল বাড়ায় আবারও ভাঙন শুরু হয়েছে। রাজ্য সরকার যতটা সম্ভব ভাঙন আটকানোর চেষ্টা করছে। প্রশাসন যথেষ্ট তৎপর রয়েছে’।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ফি বছরই জেলায় নদী ভাঙন, প্লাবন দেখা দেয় তবে ভুতনি দ্বীপের ভাঙন ও প্লাবনের দুর্দশা ব্যতিক্রম। লক্ষাধিক মানুষের এই দ্বীপে ফি বছরই দুর্ভোগের চিত্র দেখা মিললেও অসম্পূর্ণ থেকে যায় স্থায়ী সমাধান।