জানা গিয়েছে, গত ২৭ এপ্রিল থেকে সংস্কারের জন্য তিস্তা ব্যারেজের সেতু দিয়ে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ। শুধু ফুটপাথ দিয়ে হেঁটে যাওয়া ছাড়া আর কোন পথ খোলা নেই। ফলে ডুয়ার্স কিংবা পাহাড় থেকে আসা পর্যটকরা গজলডোবা এড়িয়ে সেবক হয়ে সরাসরি চলে যাচ্ছেন শিলিগুড়ি। স্থানীয় দোকানদার নির্মল মণ্ডল জানান, “লাটাগুড়ি, ওদলাবাড়ি বা মাদারিহাট থেকেও মানুষ আসতেন গজলডোবায়। এখন কেউই আর আসছেন না।”
advertisement
আরও পড়ুন: ৯৫ হাজার কৃষকের মুখে হাসি! অবিশ্বাস্য কাজ করে রাজ্যে সেরা একসময় ধুঁকতে থাকা এই ব্যাঙ্ক
অন্যদিকে, মনোরঞ্জনের জন্য ব্যাটারিচালিত গাড়ি, সাইকেল রাইড, নৌকাবিহার—এসব পরিষেবাও এখন পুরোপুরি স্তব্ধ। পাখিবিতান অভয়ারণ্যের ৭২টি নৌকা অলস ভাবে পড়ে রয়েছে। নৌকা চালকদের মুখে একরাশ হতাশা। ‘তিনটে ছুটির দিনেও মাত্র সাতজন পর্যটক এসেছেন হয়ত’, আক্ষেপের সঙ্গে জানালেন সমিতির প্রতিনিধি নিমাই মণ্ডল।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বেলাকোবা হয়ে গজলডোবা পৌঁছনোর দীর্ঘ পথ বেহাল, শর্টকাট রাস্তাও এখন পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করছে। এজেন্সি চালক অশোক দাস জানালেন, “গাড়ি, সাইকেল—সব তৈরি ছিল, কিন্তু পর্যটকের দেখা নেই। ব্যবসা বন্ধ হওয়ার মুখে।” স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, “সেতু সংস্কারের কাজ হতে ১৪০ দিন! এতদিন যদি এমনই চলে, তাহলে উপার্জন বন্ধ হয়ে যাবে। পরিবার চালানোই দায় হবে।” পর্যটনের প্রাণস্বরূপ গজলডোবা আজ নিঃশব্দ।
সুরজিৎ দে





