নির্ধারিত ১৪০ দিনের কাজ শেষ হওয়ার আগেই, অগাস্টের শেষের দিকেই সেতুটি চালু করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। জলপাইগুড়ি সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জেলাশাসক শামা পারভিন জানিয়েছেন, “সাধারণ মানুষ ও পর্যটকদের সুবিধার কথা ভেবেই সেতুটি প্রায় ১৫ থেকে ২০ দিন আগে খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
আরও পড়ুন: ‘জেলে গেলে তো লোকে…’, মাদক-কাণ্ডে ২৮ দিন জেলে কী হয়েছিল শাহরুখের ছেলের সঙ্গে? মুখ খুললেন আরিয়ান
advertisement
তবে ভারী ডাম্পার বা মালবাহী যান চলাচল আপাতত অনুমতি পাবে কি না, সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।প্রসঙ্গত, সেতু মেরামতের কাজ চলার কারণে গত কয়েক মাস ধরে ব্যারেজ বন্ধ থাকায় পর্যটন শিল্পে ভাটা পড়েছিল। গজলডোবা থেকে লাটাগুড়ি হয়ে ডুয়ার্সে যাওয়ার জন্য এই সেতুই ছিল সবচেয়ে সহজ রাস্তা। সেখানে কাজ হওয়ার কারণে বিগত দিন ধরে বন্ধ থাকায় পর্যটকদের ঘুরপথে যেতে হচ্ছিল। ফলে গজলডোবা থেকে শুরু করে ডুয়ার্সের হোটেল-রিসর্ট, হোমস্টে ব্যবসায়ীরাও ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন।
আগস্টের শেষ সপ্তাহে সেতু খুলে গেলে পরিস্থিতি পাল্টাবে বলেই আশা করছেন স্থানীয়রা। গজলডোবার এক হোটেল মালিক বললেন, “সেতু বন্ধ থাকার কারণে বুকিং কমে গিয়েছিল। পুজোর আগে সেতু খুলে গেলে আবারও ভিড় বাড়বে, ব্যবসাও ঘুরে দাঁড়াবে।” অন্যদিকে, সাধারণ মানুষও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। কারণ এই সেতু খোলার ফলে জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ির সংযোগ অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে।পুজোর আগে পর্যটনপ্রেমীদের কাছে এই খবর নিঃসন্দেহে বড় উপহার। স্থানীয় মহলও মনে করছে, ব্যারেজ সেতু খুলে যাওয়ার পর আবারও প্রাণ ফিরে পাবে গজলডোবা ও ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসা!





