স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই অবিভক্ত বাংলায় ভাগ চাষিরা দাবি তুলেছিল উৎপাদিত ফসলের দুই ভাগ কৃষকের আর এক ভাগ জমিদারের। এছাড়াও জমির দখলিস্ত্ব দিতে হবে ও অতিরিক্ত কোন কর দেওয়া হবে না। সেই সময় থেকেই কৃষক আন্দোলনকে দাবিয়ে রাখতেই আক্রমণ শুরু করে জমিদার ও সহযোগী ব্রিটিশ প্রশাসন। সেই সময় থেকেই কৃষক আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিল খাঁপুর গ্রাম।
advertisement
আরও পড়ুন: বাঁশ বোঝাই যান, চার চাকার সংঘর্ষ…! অকালে প্রাণ শিক্ষকের, আহত ৪
এ বিষয়ে নাটক উদ্যোক্তা শুভাশিস চক্রবর্তী জানান, “জেলার ইতিহাস সম্পর্কে নতুন প্রজন্মের কাছে সম্যক ধারণা তৈরি করতেই এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যেখানে তেভাগা আন্দোলনে ঘটে যাওয়া ঘটনা, অন্যতম বীর সংগ্রামী ইলা মিত্র সহ বেশ কিছু লড়াকু সংগ্রামীর চরিত্র নাটকের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়। দর্শকের কাছ থেকেও ব্যাপকভাবে সাড়া মিলেছে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
১৯৪৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি জমিদার ও ব্রিটিশ পুলিশ বাহিনীর আক্রমণ নেমে আসে খাঁপুর গ্রামের ভাগ চাষিদের উপর। পরবর্তীতে ব্রিটিশ পুলিশ বাহিনী এসে জমিদারের বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হয়ে তীব্র আক্রমণ হানে কৃষকদের উপর। স্বাধীনতার পরবর্তী সময় এ আন্দোলনে রেস করা যায়। জমিদারের অত্যাচার ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে ক্রমশ সেই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা দেশে। উৎপাদিত ফসলের অধিকার ছিনিয়ে নিতে কতটা নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছিল সেই সম্পর্কে জেলাবাসীকে অবগত করতেই নাটক মঞ্চস্থ বালুরঘাটে।
সুস্মিতা গোস্বামী