টি-ট্যুরিজম শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ নয়, এটি অর্থনীতি, সংস্কৃতি, শিক্ষা সব কিছুরই মিলিত ক্ষেত্র হতে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পর্যটন দফতরের ইকো-ট্যুরিজম চেয়ারম্যান ও সিকিম রাজ্য পর্যটনের উপদেষ্টা রাজ বসুর কথায়, “পর্যটকরা এখন শুধু চা খেতে আসেন না। তাঁরা জানতে চান এই চা কোথা থেকে এসেছে? কীভাবে তৈরি হয়েছে? এর স্বাদ ও গুণগত মান কেমন? চা-বাগানের মধ্যে হোম-স্টে বা রিসোর্টে থাকার ফলে তাঁরা পুরো প্রক্রিয়াটা নিজের চোখে দেখতে পারবেন।”
advertisement
ডিপার্টমেন্ট অফ টি সাইন্স, নর্থ বেঙ্গল ইউনিভার্সিটির অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. চন্দ্রা ঘোষ জানান, “টি-ট্যুরিজম আসলে এক পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ। এটি পর্যটনের এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। এটি একই সঙ্গে স্থানীয়দের আয়ের সুযোগ বাড়ানোর এবং নতুন প্রজন্মকে চায়ের সঙ্গে পরিচয় করার সুযোগ করে দিয়েছে। চা শিল্পের দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্বের জন্যেও এটি গুরুত্বপূর্ণ।”
আরও পড়ুনঃ দার্জিলিং এবার আরও দারুণ, আকাশে উড়ে উড়ে পাহাড় দেখুন, হেলিকপ্টার চালু হল বলে…
পর্যটন বিশেষজ্ঞদের মতে, টি-ট্যুরিজমের মাধ্যমে একদিকে বিদেশি পর্যটকের আগমন বাড়ছে। অন্যদিকে স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারও ঘটছে। চা-বাগানের কর্মীরা পাচ্ছেন নতুন আয়ের পথ আর পর্যটকরা পাচ্ছেন এক অনন্য অভিজ্ঞতা, পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে চায়ের সুবাসে মিশে থাকা ইতিহাস, শ্রম ও শিল্পের গল্প।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দার্জিলিং, অসম, নীলগিরি – ভারতের এই তিন প্রধান চা-অঞ্চল আজ নতুনভাবে পর্যটনের মানচিত্রে জায়গা করে নিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের বিশ্বাস, সঠিক পরিকল্পনা ও প্রচারের মাধ্যমে টি-ট্যুরিজম হতে পারে টেকসই অর্থনীতি ও পরিবেশবান্ধব ভ্রমণের অন্যতম উদাহরণ।