মার্কিন দেশের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সভাপতি পিটার এফ গগি নিজে এক্স হ্যান্ডেলে বিষয়টি শেয়ার করার পর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে ‘চা’। আমেরিকার খাদ্য সুরক্ষা নিয়ামক ওই সংস্থাটির তরফে জানা গিয়েছে, যদি উৎপাদিত চায়ের খাদ্যশক্তি প্রতি ১২ ফ্লুইড আউন্সে ৫ ক্যালোরির কম থাকে তবে সেই চা-কে স্বাস্থ্যকর হিসেবে আখ্যায়িত করা যাবে।
advertisement
আরও পড়ুন- কনকনে ঠান্ডা হাওয়া, তুষারপাত, হাড় কাঁপানো শীতের মেজাজে উত্তরে, বৃষ্টি হবে কি?
এই স্বীকৃতির পথ এত সহজ ছিল না। সুদূর মার্কিন মুলুকে এই স্বীকৃতি আদায়ের যাত্রাপথ শুরু হয়েছিল প্রায় ১২ বছর আগে।চা শিল্পকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে ভারতবর্ষের। তারমধ্যে উত্তরবঙ্গের চা শিল্পের ভূমিকা অনস্বীকার্য। আর এতেই এখন খুশির হাওয়া চা শিল্পমহল জুড়ে।
ক্ষুদ্র চা চাষিদের সর্বভারতীয় সংগঠন কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান স্মল টি গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের (সিস্টা) সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তীর কথায়, ‘চা যে অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর তা কোভিড কালেও প্রমাণিত হয়েছিল। মনে রাখতে এটি এমন একটি পানীয় যা উৎপাদনের সময় বাইরে থেকে অন্য কিছু মেশানো হয় না। পাশাপাশি চা ক্যানসার প্রতিরোধী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদানে ভরপুর।
আমেরিকার মতো দেশের এই ঘোষণাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের দেশের নতুন প্রজন্ম যাতে চা পানে উদ্বুদ্ধ হয় সেব্যাপারে পরিকল্পনা গ্রহণ এখন সময়ের অপেক্ষা।’ এরই সঙ্গে চা শিল্প মহল সূত্রে খবর, শুধু গ্রিন বা ব্ল্যাক টি নয়। ওলং, হোয়াইট ও ডার্ক টি-ও স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। সব ধরনের চা ক্যামেলিয়া সাইনেনসিস প্রজাতি থেকে পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন- শীতের মুড সুইং শুরু! পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ঝাপট…! বৃষ্টিতে মাটি করবে বড়দিন?
চায়ের সঙ্গে মশলা, অপরাজিতা ফুলের রংয়ের মতো আরও নানা প্রাকৃতিক জিনিস মিশিয়ে স্বাদে বৈচিত্র্য এনে অনেকে পান করেন। অর্গানিক উপায় প্রস্তুত হয় বলে চায়ের গুণগত এবং কার্যগত মান আরও বেড়ে যায়।
সুরজিৎ দে