এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলার ক্ষুদ্র চা চাষি সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সাংবাদিক বৈঠকে সংগঠনের সভাপতি বিজয় গোপাল চক্রবর্তী জানান, সম্প্রতি টি বোর্ডের পক্ষ থেকে একটি সংস্থাকে দিয়ে কাঁচা চা পাতার উৎপাদন খরচ সহ অন্যান্য বেশকিছু বিষয়ে সমীক্ষা করানো হয়। সেই সমীক্ষার তথ্য নিয়ে গত ১১ জুলাই কলকাতায় উত্তরবঙ্গের ক্ষুদ্র চা চাষিদের নিয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন ক্ষুদ্র চা চাষি সংগঠনের পক্ষে বিজয় গোপাল চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা। সভায় পেশ করা তথ্য উল্লেখ করে এদিন বিজয়বাবু ক্ষোভের সঙ্গে জানান, প্রথমত ওই সংস্থার কোনও অধিকার নেই চা পাতা উৎপাদনের খরচ নির্ধারিত করার। দ্বিতীয়ত ২০০৭ সালে করা কেন্দ্রীয় সরকারের সমীক্ষায় যে চা পাতার উৎপাদন খরচ ১৪ টাকা প্রতি কেজি উল্লেখ করা হয়েছে, সেখান এত বছর পর সেই উৎপাদন খরচ কমে ১৩ টাকা কীভাবে হতে পারে এটাই আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না।
advertisement
আরও পড়ুন: চামড়ায় পড়েছে ভাঁজ, তবু ৮০ বছরেও খালি চোখেই জাল বুনে চলেছেন সনেকা সরকার
ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। পরবর্তী সময়ে সমস্যার সমাধান না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। উল্লেখ্য ডুয়ার্স, তরাই ও পাহাড়ের বাগানগুলিতে কাঁচা চা পাতা তোলা বা প্লাকিংয়ের শেষ দিন জানিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ফ্যাক্টরিতে কাঁচা পাতার প্রক্রিয়াকরণের শেষ দিন ২ ডিসেম্বর নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সিটিসি, গ্রিন টি ও অর্থডক্স চা পাহাড়ের ক্ষেত্রে ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে শর্টিং, প্যাকিং এবং গুদামে পাঠানোর কথা বলে দেওয়া হয়েছে। ডুয়ার্স-তরাইয়ের বাগানে সিটিসি-র ক্ষেত্রে ওই তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ও অর্থডক্স-গ্রিন টি’র ক্ষেত্রে ১৮ ডিসেম্বর সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
সুরজিৎ দে