শুনতে অবাক লাগলেও আদতে এটাই সত্যি। সিডনি হারবারের আদলে জলপাইগুড়ি জেলার গজলডোবায় তৈরি হচ্ছে ঝুলন্ত সেতু। ভোরের আলোয় পর্যটকদের স্বাগত জানাতে সেতুটি তৈরি করা হচ্ছে। ভোরের আলো হওয়ার পর এমনিতেই গাজলডোবায় পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে। উপরন্তু অস্ট্রেলিয়ার সিডনির হারবার সেতুর অনুকরণে তৈরি হওয়া ব্রিজকে নিয়ে ইতিমধ্যেই পর্যটকদের আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
এ বার শীতের ট্যুরের প্ল্যান করে থাকলে তাতে আপনি রাখতেই পারেন জলপাইগুড়ির গজলডোবা। এখানে এলেই অস্ট্রেলিয়া ঘোরার আনন্দ তো পাবেনই। সঙ্গে দেখা মিলবে নানা নাম না জানা বিদেশি পরিযায়ী পাখির।রোজই সেতু দেখতে মানুষের ভিড় চোখে পড়ে গজলডোবায়। এখানে ঘুরতে এসে ব্রিজকে পেছনে রেখে সেলফি তোলেন না এমন মানুষ খুব কমই চোখে পড়ে। এখনই রীতিমতো সেলফি জোন হয়ে উঠেছে ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা। জানা গিয়েছে, প্রায় ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে এখানে তৈরি করা হচ্ছে সিডনির বিখ্যাত হারবার সেতু অনুকরণে একটি সেতু। সেতুটি তৈরির কাজ প্রায় শেষের পথে।
advertisement
নিঃসন্দেহে বলা-ই যায়, এটি একটি আকর্ষণীয় পর্যটন স্থল হতে চলেছে। যা দেখতে দূরদূরান্ত থেকে লোকে ছুটে আসবেন। অনেকেই মনে করছেন এই সেতু উদ্বোধন হলেই বিশ্ব মানচিত্রে উঠে আসবে জলপাইগুড়ির গজলডোবা ভোরের আলো। এতে খুশি স্থানীয় বাসিন্দা-সহ পর্যটন ব্যবসায়ীরাও। ভোরের আলোর পাশ দিয়ে বয়ে চলা তিস্তা ক্যানালের দুটি পাড়কে জুড়তেই এই সেতু তৈরি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : আপনি নিরামিষাশাসী? কম খরচে মাছ, মাংস, ডিমের মতোই প্রোটিন পাবেন এই খাবারগুলি থেকে
শুধুমাত্র সেতুটি নয়, এখানে বাড়তি পাওনা এখানকার মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য। শীতের সময় এখানে পরিযায়ী পাখির আনাগোনা থাকেই। তা দেখতে পর্যটকরা ভিড় জমান এমনিতেই। এবার সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে সেই সব পাখি দেখতে আরও মনোরম লাগতে পারে। তার সঙ্গে রয়েছে নৌকায় করে ঘুরে বেড়ানো, মন পসন্দ খাওয়া দাওয়ার সম্ভার। সবমিলিয়ে পর্যটকদের একাধিক আকর্ষণ অনুভব করতে আসতেই হবে এখানে।