উত্তর দিনাজপুরের টাঙ্গন নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় আখ চাষ করে বিপুল লাভবান হয়ে উঠেছেন কৃষকরা। সেই নজির অনুসরণ করে আপনিও বাড়ির অল্প জায়গায় আখের চাষ শুরু করতে পারেন। কালিয়াগঞ্জের রাধিকাপুর অঞ্চলে টাঙ্গন নদী সংলগ্ন এলাকায় ক্রমশই বাড়ছে আখের চাষ। এই এলাকায় নদী সংলগ্ন বেলে-দোআঁশ মাটির জল ধারণের ক্ষমতা অত্যন্ত কম। তাই ধান চাষ করা যায় না। ধান চাষের বিকল্প হিসেবে লাভজনক হওয়ায় এখানে আখের চাষ বাড়ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: বুদ্ধ প্রয়াণে শোকাচ্ছন্ন চা বলয়, বন্ধ বাগান শ্রমিকদের জন্য ‘ফাউলাই’ চালু করেছিলেন তিনিই
আখ মরশুমি ফসল হলেও এখন বাজারে সারা বছর আখের রস বা জুস বিক্রি হয়। এই জুস বিক্রেতারাই সারা বছর প্রয়োজন অনুসারে সরাসরি কৃষকদের জমি থেকে পাইকারি দামে আখ কিনে নিচ্ছেন। ফলে উৎপাদিত আখ বিক্রির কোনও সমস্যা থাকছে না সারা বছর নগদ টাকার যোগান থাকে বলে রাধিকাপুর সংলগ্ন টাঙ্গন নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে বাড়ছে আখ চাষের প্রবণতা।
এই আখ চাষের সঙ্গে যুক্ত সন্তোষ রায় বলেন, এই আখ চাষে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ লাভ সম্ভব। তিনি জানান, এই বছর সাড়ে চার বিঘা জমিতে আখ চাষ করেছেন। এই আখের চারা কার্তিক-অঘ্রায়ণ মাসে রোপণ করেছিলেন। ৯০০ টাকা কুইন্টাল দামে এই আখ বাজারে বিক্রি করেন। একই জমিতে একবার আখ চাষ করলে তিনবার ফলন পাওয়া যায়।
পিয়া গুপ্তা