গত রবিবার ঘূর্ণিঝড়ের পর থেকেই প্রশাসনের তরফে বার্নিস হাইস্কুলে তৈরি করা হয়েছে ত্রাণ শিবির এবং পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয়েও তেমনভাবে নেই পড়ুয়াদের দেখা । সেজন্য আপতকালীন কারণে দু’দিন ছুটি দেওয়া হয় স্কুল। এখনও স্কুলে রয়েছে সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা।দুর্যোগের তিনদিন পরে স্কুলে পঠন পাঠন শুরু হলেও এখনও সেভাবে স্কুলমুখী হয়নি বার্নিশ গ্রামের পড়ুয়ারা।
advertisement
একদিকে বাড়িঘর নেই, তাই শেষ সম্বলটুকু বাবা মায়ের সঙ্গে সংগ্রহের জন্য ব্যস্ত পড়ুয়ারা। বার্নিশ হাই স্কুলে পড়ুয়াদের কথায়, আগামী ২৩ এপ্রিল ওদের পরীক্ষা। কিন্তু এই বিধ্বংসী ঝড়ে ক্ষতি হয়েছে পড়াশোনার। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে কীভাবে পরীক্ষা দেবে ভেবেই কুল পাচ্ছে না পড়ুয়ারা। এখনও তাদের চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট।
ইতিমধ্যেই স্কুলের তরফে অনেক পড়ুয়ার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বই-সহ স্কুলের পোশাক। পড়ুয়াদের যে পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে সে কথা জানালেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।এক কথায় পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়, কবে এই পড়ুয়ারা মাথা গোজার ছাদ ফিরে পায় এবং কবে থেকে নিজেদের পড়াশোনা ফের চালাতে পারবে এখন তাতেই পড়েছে প্রশ্ন চিহ্ন।
সুরজিৎ দে